ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে ৬০ উপজেলায় শুরু হয় এ ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণ উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন রয়েছে ১৬৬ প্লাটুন বর্ডার গার্ড (বিজিবি। ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে বিজিবির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
এদিকে আজকের ভোটযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এবারের উপজেলা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে বলে ইসির তথ্য বলছে। তবে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত করা ২০টি উপজেলায় আগামী ৯ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে।
চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলায় একজন চেয়ারম্যান, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫১, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জনসহ মোট ৭২১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ধাপে মোট ভোটার ২ কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৭ হাজার ৮২৫টি। নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকছে ১৬৬ প্লাটুন বিজিবি।
তপশিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোট গ্রহণের তিন দিন পূর্ব পর্যন্ত আচরণবিধি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতি উপজেলার জন্য একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোট গ্রহণের তিন দিন আগে থেকে ভোট গ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতি ৩টি ইউনিয়নের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ১৭টি উপজেলায় অতিরিক্ত ২৯ প্লাটুন বিজিবি, ১৪ টিম র্যাব, ১২৮ জন আনসার ও ১৬ জন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে।
দেশের ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়ে। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮ জন নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা পার হন ২২ জন। ২১ মে অনুষ্ঠিত এ ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। ২৯ মে তৃতীয় ধাপের ৮৭টি উপজেলার নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর ২৩টি উপজেলার নির্বাচন নানা কারণে বাতিল ও স্থগিত হয়েছে।