দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২০ দিন আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসানের মুখে পড়েছিলেন স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা। দেশের স্থানীয় বাজারে হঠাৎ করে পেঁয়াজের চাহিদা ও দাম বেড়ে যাওয়ায় আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টায় ভারত থেকে ৩৩ টন পেঁয়াজ নিয়ে দুটি ট্রাক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। হিলি স্থলবন্দরের মেসার্স সততা বাণিজ্যালয় নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পেঁয়াজ আমদানি করে।
তবে পেঁয়াজ আমদানির পরে তাৎক্ষণিক স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। চলতি সপ্তাহ থেকে হিলি ও বিরামপুর পৌর শহরের খুচরা বাজারে দেশি জাতের প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী বাবলুর রহমান বলেন, বন্দরে আমদানিকৃত পেঁয়াজ খালাসের প্রক্রিয়া চলছে। এসব পেঁয়াজ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হবে। পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক, পরিবহন খরচ ও অন্যান্য খরচ হিসাব করে তারপর দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করা হবে।
হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারী পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড সূত্রে জানা যায়, এর আগে ১৪ মে সন্ধ্যায় ৩০ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। সে সময় আমদানিকৃত প্রতি কেজি পেঁয়াজে প্রায় ৬২ টাকা খরচ পড়েছিল। কিন্তু ওই সময় হিলি ও আশপাশের বাজারে দেশীয় জাতের পেঁয়াজ ৬২ থেকে ৬৪ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছিল। এতে করে বেশি দামে আমদানিকৃত ওই সব পেঁয়াজ ক্রেতাসংকটে ১০ দিন ধরে আমদানিকারকের গুদামে পড়ে ছিল।
হিলি সবজি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শাকিল হোসেন বলেন, ঈদ সামনে রেখে হিলি বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে। বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজি দেশীয় জাতের পেঁয়াজ পাইকারি ৭৭ টাকা বিক্রি হয়েছে। আর খুচরা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আজ বিকেলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এতে আগামীকাল সকাল থেকে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে পারে।
বিরামপুর পৌর শহরের নতুনবাজার এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এসব পেঁয়াজ পাবনা, নাটোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর থেকে বিরামপুরে আসছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়লে বাজারেও পেঁয়াজের দাম কমবে।