ঘূর্ণিঝড় রিমালে ১৬ জনের মৃত্যু, পৌনে ২ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

0
61
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ধসে পড়েছে বসতঘর। অক্ষত জিনিসপত্র খুঁজে দেখছেন এক ব্যক্তি। গতকাল পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়, ছবি: এএফপি

ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে দেশের ৭ জেলায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় ও এর আশপাশের ১৯টি জেলায় প্রায় পৌনে ২ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৪০ হাজার ৩৩৮টি এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৮টি ঘরবাড়ি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো–অর্ডিনেশন সেন্টারের দুর্যোগসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনে আজ বুধবার এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গত রোববার রাতে বাংলাদেশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এই ঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে উপকূলের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের পরদিন সোমবার একেবারে প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩ ঘরবাড়ি। এ ছাড়া আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি।

দুর্যোগসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে খুলনা জেলায়। এই জেলায় ২০ হাজার ৭৬২টি ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। বাগেরহাটে বিধ্বস্ত হয়েছে ১০ হাজার ঘরবাড়ি। বাকিগুলো বিভিন্ন জেলায়।

দুর্যোগসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, এই ঝড়ে দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির মুখে পড়ে উপকূল ও আশপাশের ১৯ জেলা। এগুলো হলো সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর। এর মধ্যে মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটেছে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, চট্টগ্রাম ও পিরোজপুরে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.