সাত দিন ধরে জ্ঞান ফেরেনি অভিনেত্রী সীমানার। বর্তমানে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। গত সপ্তাহে অসুস্থ হয়ে পড়েন এই অভিনয়শিল্পী। পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে ২০ মে সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা যায়, এই অভিনেত্রীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। পরে সার্জারিও করতে হয়েছে। তার পর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বর্তমানে এই অভিনেত্রীকে অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরের কথা চিন্তা করছে পরিবার।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সীমানার ছোট ভাই এজাজ বিন আলী বলেন, ‘সাত দিন ধরেই আপু এই হাসপাতালে ভর্তি। দুই দিন আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে সার্জারি করা হয়। তার পর থেকেই আপু হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছে। কিন্তু এখনো জ্ঞান ফেরেনি। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে।’
দুই সপ্তাহ আগেই এজাজ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি থাকেন। এর মধ্যে এক সপ্তাহ পরেই শুনতে পান তাঁর বোন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
পরিবারের সবার মানসিক অবস্থা ভালো নয়। তাঁদের পাশে থাকতেই বোনের জন্য ২৪ মে আবার দেশে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছি। আপুর অবস্থা ভালো নয়। এর মধ্যে আবার কিডনিতে সমস্যা ধরা পড়েছে। বলা যায়, অবস্থার খুব একটা উন্নতি হচ্ছে না। এখন সবার কাছে দোয়া চাই। তিনি যেন আবার সুস্থ হয়ে দুই সন্তানের কাছে, পরিবারের কাছে ফিরতে পারেন।’
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম বলেন, ‘আমরা সংগঠন থেকে সব সময় তাঁদের পাশে আছি। যেকোনো সহযোগিতায় পাশে রয়েছি। সীমানার পরিবার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কথা জানিয়েছে। যেখানে হোক আমরা সব বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করব। মামুনুর রশীদ ভাই থেকে শুরু করে সবাই খোঁজখবর রাখছি। আমরা সব সময় পাশে রয়েছি। সব রকম সহযোগিতাই আমরা করব।’
এর আগে গতকাল সোমবার গায়ক পারভেজ সীমানার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানান, বেশ কয়েক দিন আগে থেকে শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন সীমানা।
এর মধ্যে হঠাৎ গত সোমবার অসুস্থ হন। বর্তমানে তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পারভেজ বলেছিলেন, ‘গতকাল তাঁর একটি সার্জারিও করা হয়েছে। বর্তমানে কী অবস্থা, তা এখনো কিছু বোঝা যাচ্ছে না।’ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এই গায়ক আরও বলেছিলেন, ‘এখনো পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। চিকিৎসকেরাও কিছু বলেননি। জানিয়েছেন, আরেকটু সময় লাগবে। পর্যবেক্ষণ শেষ হলে শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকেরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।’
প্রসঙ্গত, সীমানা ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরু করেন। ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হন তিনি। পরে নাটকেও অভিনয় শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ ২০১৬ সাল থেকে অভিনয়ে বিরতি। পরে জানা যায়, মা হওয়ার জন্যই এই বিরতি। দুবার মা হওয়ার কারণে তাঁর এই দীর্ঘ বিরতি। বিরতি ভেঙে গত বছর থেকে আবার নাটকে অভিনয় শুরু করেন।