নোয়াখালী হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমেলের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে নিঝুম দ্বীপসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) দুপুরের পরে আসা জোয়ারে এসব এলাকা ৪ থেকে ৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়।
বাড়ি-ঘরে পানি ডুকে এসব এলাকায় প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ মানবতার জীবনযাপন করছে।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন জানান, নিঝুম দ্বীপের প্রায় সবকটি গ্রাম ৪ থেকে ৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। প্রধান সড়কের ওপর দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়। এ ছাড়া গ্রামের কাঁচা রাস্তা জোয়ারের স্রোতে সম্পূর্ণ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। অনেকে গবাদি পশু নিয়ে কিল্লার ওপর ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। ভেসে গেছে প্রায় ২০০ পুকুরের মাছ।
এ ছাড়া হাতিয়ার সূখচর ইউনিয়নের ডালচর ও হরনী ইউনিয়নের চরগাসিয়ায় জোয়ারের পানিতে ৪ থেকে ৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় এলাকা খুব সহজে জোয়ার পানিতে প্লাবিত হয়।
চরগাসিয়ায় জনতা বাজারের ব্যবসায়ী মাকসুদ জানান, এই চরে বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারে প্রায় বিশ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জোয়ারে পানিতে বাজারের ওপর প্রায় চার থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়।
এ ছাড়া হাতিয়ার নলচিরা ঘাটের দশটি দোকান জোয়ারের স্রোতে ভেসে যায়, জোয়ারের সঙ্গে সঙ্গে ঢেউয়ের তীব্রতার কারণে এসব দোকান সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। অনেকে মালামাল নিয়ে বেড়িবাঁধের ওপরে রাখেন। তবে বেশিরভাগ দোকানের মালামালসহ দোকান নদীর পানিতে ভেসে যায়।
নলচিরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইউনুছ জানান, অনেক দোকানি মালামাল নিরাপদে নিতে পারেনি। চোখের সামনে অনেকের দোকান নদীর পানিতে ভেসে যায়।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীস চাকমা জানান, হাতিয়াতে ঘূর্ণিঝড় রেমেলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোয়ারের স্রোতে অনেকের ঘরবাড়ি ভেসে যায়। এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিপূর্ণ পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়নি। #হাতিয়া #নিঝুমদ্বীপ #ঘূর্ণিঝড় #everyone #explore #বাংলাদেশ