অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র ভীতি কাটল, তামিম-সৌম্যে বড় জয়

0
93
বাংলাদেশ

টানা দুই ম্যাচ হারের পর জয় পেল বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুরের ৬ উইকেটের পর তামিম-সৌম্যের অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ উইকেটে হারিয়েছেন শান্তের দল।

জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ১০ রানের বিনিময়ে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। এতে পেয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার।ফিজের বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে তানজিদ তামিম আর সৌম্য সরকার খেললেন চোখে ধাঁধানোর মতো ইনিংস। ১০৫ রানের ছোট্ট টার্গেটে শুরু থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার। তামিমই একটু আগ্রাসী ছিলেন বেশি। তবে সৌম্য নিজেও কম যাননি। পাওয়ার প্লেতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ রানের বিপরীতে বাংলাদেশ তুলেছে ৪৮ রান। ১১তম ওভারে নিজের ফিফটি তুলে নেন তানজিদ তামিম। ৫ চার আর ২ ছয়ে সাজান নিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটির ইনিংস। পঞ্চাশের পরেও অবশ্য থামেননি তিনি। ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। তামিম করেন রান ৫৮৷ আর চার মেরে জয় এনে দেওয়া সৌম্য অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রানে।

এ ম্যাচে চারটি বদল নিয়ে মাঠে নামে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম সারির ক্রিকেটারদের বসিয়ে দেয় তারা। তবুও শুরুটা ভালো হয় তাদের। প্রথম চার ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৩৫ রান তোলে তারা। পঞ্চম ওভারেও সাকিবকে ছক্কা হাঁকান দলটির ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীর। সাকিব নিজেই ভাঙেন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বোধনী এই জুটি। আন্দ্রিস গোসকে (২৭) ফিরিয়ে নিজের ৭০০তম উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেন টাইগার এই অলরাউন্ডার।

সাকিবের পরেই উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ ভোগানো শায়ান জাহাঙ্গিরকে তুলে নেন তিনি। জাহাঙ্গির ২০ বলে করেন ১৮ রান। মুস্তাফিজের কিপটে বোলিংয়ের যাত্রায় যোগ দেন রিশাদ হোসেনও। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে মেডেন আদায় করেন রিশাদ। তাদের দুজনের কিপটে বোলিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চেপে ধরে বাংলাদেশ।

মুস্তাফিজ সফল হন নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসেও। এ ওভারে ১ রান খরচায় তিনি তুলে নেন নিতিশ কুমারের উইকেট। নিতিশ ৯ বলে করেন ৩ রান। প্রথম ২ ওভারে ১৯ রান খরচ করা তানজিম সাকিব শিকার করেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অ্যারন জোনসের উইকেট। জোনস ২ রান করে ক্যাচ দেন রিশাদ হোসেনের হাতে। পরের ৪ ওভারে ৮ রানে যুক্তরাষ্ট্র উইকেট হারায় ৩টি। দশম ওভারে মুস্তাফিজ পান নিজের ৩য় উইকেট। এরপর তানজিম সাকিবের হাত থেকে আসে আরেকটি উইকেট মেইডেনের ওভার।

কোরি অ্যান্ডারসনের ১৮ বলে ১৮ আর শ্যাডলি ভ্যান শ্যালউইকের ১৭ বলে ১২ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ১০০ রান পেরুনোর পুঁজি। তাদের দুজনকেই ফেরান ফিজ। শেষ ওভারে জাসদ্বীপ সিং এবং নিসর্গ প্যাটেলের উইকেট নিয়ে ৬ উইকেট পূরণ করেন মুস্তাফিজ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.