রেকর্ড ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে অজি পেসার মিচেল স্টার্ককে দলে ভিড়িয়েছিল কলকাতা। এরপর লিগ পর্বে টানা ব্যর্থতায় ব্যাপক সমালোচনার শিকার হতে হয় স্টার্ককে। তবে স্টার্ক যে বড় ম্যাচের ক্রিকেটার তা আরও একবার প্রমাণ করলেন।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে হায়দরাবাদের টপ অর্ভারকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন এই অজি পেসার। যার ফলে শুরু ধাক্কা সামলাতে না পেরে বেশিদূর এগোতে পারেনি শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন নিয়ে গড়া হায়দরাবাদ। মাত্র ১৫৯ রানের অলআউট হয় হায়দরাবাদ।
মঙ্গলবার (২১ মে) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় হায়দরাবাদ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ট্রাভিস হেডকে বোল্ট আউট করে সাজঘরে ফেরান মিচেল স্টার্ক। পরের ওভারে আরোরার শিকার হন আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা। ৪ বলে ৩ রান করেন এই ভারতীয় ব্যাটার।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে উইকেট না পেলেও তৃতীয় ওভারে নিতিশ কুমার (৯) এবং শাহবাজকে ডাক আউট করে হায়দরাবাদের টপ অর্ডারকে বিধ্বস্ত করেন মিচেল স্টার্ক।
এরপর হেইনরিচ ক্লাসেনকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলানো চেষ্টা করেন রাহুল থ্রিপাঠী। ২১ বলে ৩২ রান করে ক্লাসেন আউট হলেও ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন রাহুল। পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন আব্দুল সামাদ। তবে দুজনের ভুল বোঝাবুঝিতে ৩৫ বলে ৫৫ রান করে রান আউট হন রাহুল।
পরের বলেই ডাক আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ইমপ্যাক্ট সাবে খেলতে নামা সানভীর সিং। এতে দলীয় ১২১ রানে সাত উইকেট হারিয়ে ছন্দ হারায় হায়দরাবাদ।
১২ বলে ১৬ রান করে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন সামাদও। শেষ দিকে ২৪ বলে ৩০ রান করে কামিন্স আউট হলে তিন বল হাতে থাকতেই ১৫৯ রানে অলআউট হয় হায়দরাবাদ।
কলকাতার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক। দুই উইকেট শিকার করেন ভারুণ চক্রবর্তী। এ ছাড়া ভাইভাভ আরোরা, হার্শিত রানা, সুনীল নারিন এবং আন্দ্রে রাসেল নেন একটি করে উইকেট।