কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি মামলায় নারী আটকের পর র্যাব হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
তিনি বলেন, ওই নারীকে আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। তিনি কেন মারা গেছেন, তার আসল কারণ ডাক্তারি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে জানা যাবে। পাশাপাশি র্যাব এ নিয়ে তদন্ত করবে।
শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার আরাফাত এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ১৩ তারিখ (মে) ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে ২৬ এপ্রিল রাতে ময়মনসিংহের নান্দাইলে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর আইনের আওতায় আনার জন্য ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজন অসুস্থ বোধ করলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
থানা থেকে র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, থানা থেকে আটকের বিষয়ে তথ্য নেই। তবে র্যাব হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করা হবে। র্যাব আইনানুগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। পাশাপাশি ডাক্তারি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে সুরাইয়া খাতুন (৫২) নামের এক নারীকে ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার গেইট থেকে আটকের পর গভীর রাতে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৭টায় র্যাব সদস্যরা সুরাইয়া খাতুনকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার ১২ ঘণ্টা পর জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহানের উপস্থিতিতে হাসপাতালে পড়ে থাকা মরদেহের সুরতাল রির্পোট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়।