মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, বাংলাদেশে আত্মহত্যা একটি জটিল সামাজিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।সরকারি-বেসরকারি সবার প্রচেষ্টায় একযোগে কাজের মাধ্যমে আত্মহত্যা নিরসন করা সম্ভব।
শুক্রবার (১৭ মে) মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘কান পেতে রই’ আয়োজিত সুইসাইড প্রিভেনশন পলিসি ব্রিফিং অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আত্মহত্যার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্যান্য খাতের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। বর্তমানে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য আগের চেয়ে অনেক সহজে পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মানসিক সমস্যা থেকে আত্মহত্যার প্রবণতা সৃষ্টি হয়। বয়সন্ধিকালে কিশোর কিশোরীদের মধ্যে হরমোনাল পরিবর্তন আসে। সেই সময় কিশোর কিশোরীরা হয়ে অপ্রতিরোধ্য। এই সময় তারা খুবই সংবেদনশীল হয়।
আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, লেখাপড়া নিয়ে মা-বাবার উচ্চাকাঙ্ক্ষা, প্রেমে ব্যর্থতা, সাইবার বুলিং, প্রোফাইল হ্যাক, চাকরি না পাওয়ায় হতাশা ইত্যাদি আত্মহত্যার উল্লেখযোগ্য কারণ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আত্মহত্যা নিরসনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় শুরু থেকে কাজ করছে। বাংলাদেশে প্রতিটি ইউনিয়নে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তথ্য আপা প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকার নিরলস কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, ড. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন ও জাহিদ ফিজা কবির।