যাত্রী না পাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন অভিযোগে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে এখন পর্যন্ত ১৩টি বিদেশি সংস্থা বিমান পরিচালনা বন্ধ করেছে।
জানা গেছে, মেগা প্রকল্পের ফলে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ এই বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়লেও আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট পরিচালনা সংস্থাগুলো নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে। শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে ১৯টি বিমান সংস্থা ফ্লাইট পরিচালনা করলেও বর্তমানে তা নেমে হয়েছে ৬টি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক রুটও।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিদেশি বিমান সংস্থাগুলো এখানে ব্যবসা করতে এসেছে। তারা প্রয়োজনীয় সংখ্যক যাত্রী না পেয়েই ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক যুগ্মসম্পাদক এম এ মান্নান বলেন, বিদেশি বিমান সংস্থার সেবা বন্ধের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নানান গাফিলতি এবং প্রয়োজনীয় যাত্রী না পাওয়ায় তারা চলে গেছে।
এদিকে, শাহ আমানত বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক রুটে বিমান বন্ধের নেপথ্যে রয়েছে নানান অভিযোগ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিমানবন্দরের নানান অব্যবস্থাপনা, আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা না থাকা, অবকাঠামো, প্যাসেঞ্জারি বিল্ডিং সক্ষমতা না থাকা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক লাগেজ বেল্ট না থাকা।