খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ১০.২২ শতাংশে, চাপে গ্রামীণ জনপদ

0
98
নিত্যপ্রয়োজনী দ্রব্যে মূল্যস্ফীতি
দেশে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি আবারও বেড়েছে। সবশেষ গত এপ্রিল মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে উঠেছে। আগের মাসে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এদিকে মূল্যস্ফীতির হার যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে মানুষের আয় বাড়েনি। মূল্যস্ফীতির এই বৃদ্ধিতে শহরের তুলনায় বেশি চাপে আছে গ্রামীণ জনপদ।
 
সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। চার মাস পর খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার ১০ শতাংশ ছাড়ালো।
 
সবশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর আগে মার্চ মাসে তা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ফলে এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে। মার্চে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।
 
বিবিএস প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, আর গ্রামে এ হার ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। গ্রামে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।
 
অন্যদিকে, শহরে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ হলেও খাদ্যবহির্ভূত খাতে তা ৯ দশমিক ০১ শতাংশ। শহরের তুলনায় গ্রামে সব খাতেই মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।
 
বিবিএস বলছে, যেখানে এপ্রিল মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, সেখানে মজুরি সূচক বেড়ে মাত্র ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ হয়েছে। এর মানে সংসারের খরচ মেটাতে ধারদেনা করতে হচ্ছে মানুষকে। কৃষিতে মজুরি সূচক ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ, শিল্প খাতে মজুরি সূচক ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ ও সেবা খাতে মজুরি সূচক ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। কোনো খাতেই ৯ শতাংশের ওপরে মজুরি নেই, অথচ সাধারণ মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চাপে আছে গ্রামীণ জনপদের মানুষ। মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধির সঙ্গে আয়ের অসঙ্গতি শহরের তুলনায় গ্রামেই বেশি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.