লর্ডসে শুরু, লর্ডসেই শেষ

0
70

সবাই ভেবেছিল রূপকথার মতো ক্যারিয়ারের অবসান ঘটবে তাঁর ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। কিন্তু জেমস অ্যান্ডারসন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২০০৩ সালে যে লর্ডসে শুরু করেছিলেন, সেই ঐতিহাসিক মাঠেই শেষ টেস্ট খেলবেন। ইতিহাসের প্রথম পেসার হিসেবে ৭০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করা এ বোলার গতকাল জানিয়ে দেন তাঁর অবসরের দিনক্ষণ। আসছে জুলাইয়ে উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলেই ইতি টানবেন ২১ বছরের ক্যারিয়ারের।

গত শুক্রবার প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক ‘গার্ডিয়ান’ অ্যান্ডারসনের অবসরের খবর দিয়েছিল। এর পরই ইনস্টাগ্রামে অবসরের ঘোষণা দেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা এ পেসার, ‘লর্ডসে অনুষ্ঠেয় গ্রীষ্মের প্রথম টেস্টটি হতে যাচ্ছে আমার শেষ।’

আসছে জুলাইয়ে লর্ডসে উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে গ্রীষ্ম শুরু করবে ইংল্যান্ড। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা লম্বা সে বার্তায় তিনি আরও লেখেন, ‘যে খেলাটি আমি শৈশব থেকে ভালোবাসতাম, সেটিতে অবিশ্বাস্য ২০টি বছর দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছি। ইংল্যান্ডের হয়ে মাঠে নামাটা আমি ভীষণ মিস করব। তবে আমি জানি, সরে দাঁড়ানোর এটাই উপযুক্ত সময় এবং আমার মতো অন্যদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ করে দেওয়া উচিত …। কারণ, এর চেয়ে দুর্দান্ত কোনো অনুভূতি নেই।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি কোনোভাবেই এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না ড্যানিয়েলা (স্ত্রী), লোলা ও রুবি (সন্তান) এবং আমার পিতামাতার সমর্থন ব্যতীত। তাদের বিশাল একটি ধন্যবাদ দিতে চাই। সেই সঙ্গে আমার সতীর্থ ও কোচদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা এই কাজটিকে পৃথিবীর সেরা বানিয়েছেন। জীবনের নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য আমি রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষায় আছি। আশা করছি, এখন বেশি বেশি গলফ খেলতে পারব।’

অ্যান্ডারসনের বিদায়ী টেস্ট শুরু হবে ১০ জুলাই। গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ইংল্যান্ড টেস্ট দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে আলোচনার পরই অবসরের সিদ্ধান্ত নেন অ্যান্ডার। ম্যাককালাম তাঁকে বলেছেন, টেস্ট দল নিয়ে ভবিষ্যতের দিতে তাকাতে চাচ্ছেন তারা। মূলত ২০২৫-২৬ অ্যাশেজের জন্য পেস বিভাগ তৈরি করতে চাচ্ছেন তারা। অ্যান্ডারসনের বয়স তখন হবে ৪৩। তাই তারা নতুন কাউকে সুযোগ দিয়ে অ্যাশেজের জন্য তৈরি করতে চাচ্ছেন।

সর্বশেষ ভারত সফরে ইতিহাসের তৃতীয় বোলার হিসেবে ৭০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন অ্যান্ডারসন। ধর্মশালায় ক্যারিয়ারের ১৮৭তম টেস্ট খেলতে নেমে কুলদীপ যাদবকে আউট করে নতুন এ উচ্চতায় পৌঁছান তিনি। টেস্টে সর্বোচ্চ শিকারির তালিকায় অ্যান্ডারসনের ওপরে আছেন আরও দু’জন। এর মধ্যে ৮০০ উইকেট নিয়ে সবার ওপর শ্রীলঙ্কান স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন এবং ৭০৮ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে প্রয়াত অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার শেন ওয়ার্ন। ৪১ বছর বয়সী এ পেসার ওয়ানডে খেলেছেন ১৯৪টি, যেখানে উইকেট পেয়েছেন ২৬৯টি। আর ১৯টিতে তাঁর উইকেট সংখ্যা ১৮টি। টেস্টে পুরো মনোযোগ দেওয়ার জন্য ২০১৫ সালে ওয়ানডে ও ২০০৯ সালে টি২০ থেকে সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.