ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার একটি প্রস্তাব সাধারণ পরিষদে বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। একই সঙ্গে সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে নিয়ে পুনর্বিবেচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার প্রস্তাবটির ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৩টি সদস্যদেশ রয়েছে। এর মধ্যে ফিলিস্তিনকে নতুন সদস্য করার পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৪৩টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ৯টি দেশ। ভোটদানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে বাংলাদেশ ১৪৩টি দেশ ভোট দিয়েছে
সাধারণ পরিষদের এই ভোটের মধ্য দিয়ে অবশ্য জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্যপদ পাবে না ফিলিস্তিন। তবে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘে যুক্ত করার পক্ষে এটি একটি বৈশ্বিক স্বীকৃতি হিসেবে কাজ করবে। এর আগে গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে তোলা একই ধরনের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রে ভেটো প্রয়োগে খারিজ হয়ে গিয়েছিল।
সাধারণ পরিষদের ভোটের মাধ্যমে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ না পেলেও অতিরিক্ত কিছু সুবিধা ভোগ করবে ফিলিস্তিন। যেমন চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে পরিষদের অধিবেশন কক্ষে অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আসন পাবে তারা। তবে কোনো প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে না।
ভোটাভুটির সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ছিলেন আল-জাজিরার সাংবাদিক গ্যাব্রিয়েল এলিজোন্ডো। তাঁর মতে, প্রস্তাবের পক্ষে বিপুল ভোট পড়ার ঘটনাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘যেমনটি আমরা শুনছিলাম—ফিলিস্তিনের পক্ষে ১২০ থেকে ১৩০টির মধ্যে ভোট পড়তে পারে। সর্বোচ্চ তা ১৪০ হতে পারে। তবে ১৪৩টি ভোট পড়াটা একেবারে ধারণাতীত।’
ভোটের পর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, প্রস্তাব পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে এটা দেখা গেছে যে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও অধিকারের পক্ষে রয়েছে বিশ্ব। একই সঙ্গে তারা ইসরায়েলের দখলদারির বিপক্ষে। তবে এই ভোটের নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরডান। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ এখন ‘সন্ত্রাসী একটি রাষ্ট্রকে’ স্বাগত জানাচ্ছে।