শেষের রোমাঞ্চে ম্যাচে ৫ রানে জিতল বাংলাদেশ

0
85
বাংলাদেশ
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৪ রান দরকার ছিল জিম্বাবুয়ের। ছিটকে যাওয়া এই ম্যাচ শেষ ওভারের প্রথম ৩ বলে ৭ রান তুলে নিয়ে জমিয়ে ফেলেছিল সফরকারীরা। তবে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের অভিজ্ঞতা আর নৈপুণ্যের কাছে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ৫ রানে হেরেছে জিম্বাবুয়ে।
শুক্রবার (১০ মে) মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯ দশমিক ৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৩ তুলে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৩৭ বলে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন তানজিদ। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯ দশমিক ৪ ওভারে ১৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। এতে ৫ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলো বাংলাদেশ।
স্বাগতিকদের ছুঁড়ে দেওয়া মামুলি পুঁজি তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় তারা। জিম্বাবুয়ে শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন।
এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারেও উইকেট নেন তাসকিন। এই পেসারের দ্বিতীয় শিকার বনে ১০ বলে ১৭ রানে ফেরেন রাজা। এর মধ্য দিয়ে ২৮ রানে ভাঙে রাজা এবং মারুমানির জুটি।
এরপর আক্রমণে এসে ভেলকি দেখান সাকিব। মারুমানিকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ফেরান তিনি। সাকিবের বলে সুইপ করতে গিয়ে পারেননি এই ওপেনার। ১০ মাস পর ফিরে পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলেই উইকেট শিকার করেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।
চাপে পড়া জিম্বাবুয়ে শিবিরে ফের ধাক্কা দেন রিশাদ। তার বলে রিভার্স সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন মাদান্দে। তবে ঠিকঠাক টাইমিং হয়নি। এতে এলবিডব্লিউ হয়ে ১৮ বলে ১২ রানে ফেরেন এই ব্যাটার।
এরপর তানজিম সাকিবের ওভারে দুই ছক্কা ও এক চারে ২০ রান তুলে নিয়ে দুর্দান্ত প্রতিরোধ গড়েছিলেন ক্যাম্পবেল–বার্ল জুটি। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগেই এই জুটি ভেঙে দেন মোস্তাফিজ। ইনিংসের ১৫তম ওভারে আক্রমণে এসে তৃতীয় বলে বার্ল এবং শেষ বলে জঙ্গিকে ফিরিয়েছেন কাটার মাস্টার।
এরপর আক্রমণে এসে বেশ খরুচে এক ওভার করেন সাকিব। তবে এই ওভারেই উড়ন্ত ক্যাম্পবেলকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তিনি।
শেষ দিকে ১২ বলে ২১ রান প্রয়োজন ছিল জিম্বাবুয়ের। হাতের নাগালে ম্যাচও নিয়ে গিয়েছিল সফরকারীরা। তবে মোস্তাফিজের নৈপুণ্যে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। ইনিংসের ১৯তম ওভারে আক্রমণে এসে ফারাজ আকরামকে ফেরান এই পেসার। স্কয়ার লেগে ক্যাচ নেন তানজিদ।
শেষ ওভারে ১৪ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। অলরাউন্ডার সাকিবের অভিজ্ঞতা আর নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ৫ রানে হেরেছে তারা।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। কোনো উইকেট না হারিয়েই ১১ ওভারে ১০০ রান তুলে ফেলেন দুই ওপেনার সৌম্য ও তামিম।
দলীয় ১০১ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে থাকা তানজিদ। জঙ্গির বলে ক্যাম্পবেলের মুঠোবন্দি হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান।
তরুণ এই ওপেনার ফেরার পর আরেক ওপেনার সৌম্যও উইকেটে থিতু হতে পারেননি। ফেরার আগে ২ ছক্কা ও তিন চারে ৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস সাজান সৌম্য।
এবার সমর্থকদের হতাশ করেন হৃদয়। রাজার বলে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ-স্কয়ার লেগে বেনেটের তালুবন্দি হন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার।
দীর্ঘ ১০ মাস পর টি–টোয়েন্টিতে ফিরে ৩ বলের বেশি টিকতে পারেননি সাকিব। বেনেটের বলে বোল্ড হয়ে মাত্র এক রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপর ওভারের শেষ বলে শান্তকে ফিরিয়েছেন বেনেট।
এরপর একে একে ফেরেন জাকির, রিশাদ, তাসকিন, তানভির, তানজিম এবং ফিজ। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারের আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.