ডা. ফারজানা ইসলাম বীথি
নারীদেহে প্রজননতন্ত্রে জরায়ুর দু’পাশে টিউবের মাধ্যমে সংযুক্ত দুটি ছোট্ট ডিম্বাকৃতির অঙ্গ রয়েছে, যা ডিম্বাশয় (ওভারি) নামে পরিচিত।
নারীদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সার, জরায়ুমুখের ক্যান্সার কিংবা জরায়ু ক্যান্সারের পাশাপাশি ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার একটি মরণঘাতী রোগ হিসেবে বহুল আলোচিত। অন্যান্য ক্যান্সারের তুলনায় একে নীরব ঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০২০ সালের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা পৃথিবীতে গড়ে বছরে তিন লক্ষাধিক নারী এ রোগে আক্রান্ত হন। তার মধ্যে একটি বড় অংশ মৃত্যুবরণ করে। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৮ মে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার দিবস। ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে রোগীর সেরে ওঠার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
লক্ষণগুলো
সাধারণত এ রোগের লক্ষণ শুরুর দিকে অস্পষ্ট থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটি অ্যাডভান্স স্টেজে (রোগটি ছড়িয়ে পড়ার পর) চিহ্নিত হয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, এই রোগ নির্ণয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নির্ভরযোগ্য স্ক্রিনিং ব্যবস্থা চিকিৎসাক্ষেত্রে তৈরি হয়নি। তবে এমন কিছু লক্ষণ আছে, যা দেখা দিলে ডিম্বাশয় ক্যান্সারের বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যেমন–
ধারাবাহিক ক্ষুধামান্দ্য;
পেট ভরা ভরা লাগা;