বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশের মানুষ মেইড ইন বাংলাদেশের পোশাক পরিধান করে। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের অন্যতম দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানি কারক দেশই নয়, নিরাপদ পোশাক প্রস্তুতকারী দেশও। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সবুজ পোশাক কারখানা এ দেশে। এবারের ডেনিম এক্সপোতে ১৩টি দেশ থেকে ৬০টির বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয় বলে মনে করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ১৬তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নানক বলেন, পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের ডেনিম মেলাগুলোর মধ্যে প্রশংসনীয় আয়োজন এটি। এ দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। প্রায় ৪০ লাখ কর্মী আছেন এই শিল্পে। যার ৬৫ শতাংশ নারী। এদেশের ২ কোটি মানুষের জীবন জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এদেশে এই শিল্পের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। গত বছর এদেশে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পোশাক ক্রেতাদের উদ্দেশে বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, আজকে আমি অনুরোধ করব, পোশাক প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ডেসটিনেশন হিসেবে নেবেন। পোশাকের যথাযথ মূল্য আপনারা দেবেন। আফ্রিকার কোনো নন কমপ্লায়েন দেশের পোশাকের তুলনায় এদেশে পোশাকের মূল্য একটু বেশি হবে, হওয়াটাই স্বাভাবিক।
আমাদের পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা অত্যন্ত চৌকস দাবি করে তিনি বলেন, তারা প্রত্যেকটা চ্যালেঞ্জ অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এই পোশাক শিল্পকে তারা আরও এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
একই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন, বিজিএমইএ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান প্রেসিডেন্ট এস.এম. মান্নান কচি, এইচএন্ডএমের বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইথিওপীয়র আঞ্চলিক প্রধান জিয়াউর রহমানসহ অনেকে।