চট্টগ্রামেই সিরিজ নিশ্চিত টাইগারদের

0
100
টি-টোয়েন্টি সিরিজে রক্ষণাত্মক ক্রিকেট খেলে জয় তুলে নিয়েছে টাইগারা

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে রক্ষণাত্মক ক্রিকেট খেলে প্রথম তিন ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে টাইগারা। এতে চট্টগ্রাম পর্বেই সিরিজ নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। ‍তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৯ রানে হারিয়েছে শান্ত বাহিনী।

মঙ্গলবার (৭ মে) আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়েকে ১৬৬ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তুলতে পারে জিম্বাবুয়ে। এতে ৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এতে দুই ম্যাচ হাতে থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। শুরুতেই জয়লর্ড গাম্বিকে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

ম্যাচের পঞ্চম ওভারে একাদশে সুযোগ পাওয়া তানজিম সাকিবের হাতে বল তুলে নেন শান্ত। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন তিনি। ১১ বলে ১০ রান করা বেনেটকে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ক্রেগ আরভিনকে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন। এতে পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে ৩৩ রান তুলতে পারে সফরকারীরা।

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সিকান্ডার রাজাও। ৫ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ডান হাতি অলরাউন্ডার। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন মুরামানি। তবে ১২তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ বলে আউট হন তিনি। ২৬ বলে ৩১ রান করেন তিনি।

এরপর ক্লাইভ মাদান্দে (১১), জোনাথন ক্যাম্পবেল (২১) ও লুক জঙ্গুয়ে ২ রানে আউট হলে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ফারাজ আকরাম। ৩১ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।

শেষ পর্যন্ত ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১৩ বলে ১৩ রান করে আউট হলেও, ১৯ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ফারাজ আকরাম। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি জিম্বাবুয়ের। নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তুলতে পারে জিম্বাবুয়ে। এতে ৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন। এ ছাড়াও রিশাদ হোসেন দুটি, তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ এবং তানভীর ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ১৫ বলে মাত্র ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন কুমার দাস। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি অধিনায়ক শান্তও। ৪ বলে ৬ রান করে বোল্ড আউট হন তিনি।

ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২২ বলে ২১ রান করে আউট হন তিনি।

তবে জাকের আলিকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের ব্যাটে ভর করে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। চার বল পরেই ৫৮ রান করে আউট হন তিনি।

হৃদয়ের বিদায়ের পর পিচে থাকতে পারেননি জাকেরও। ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৪ বলে ৯ রান এবং রিশাদ হোসেনের ৪ বলের ৬ রানের ইনিংসে ভর করে পাঁচ উইকেটে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় টাইগাররা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.