চলতি আইপিএলে প্রথম আট ম্যাচের সাতটিতেই হারের স্বাদ পেয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এতে প্লে-অফের লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়েছে কোহলিরা। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা তিন জয় তুলে নিয়েছে বেঙ্গালুরু। নিজেদের ১১তম ম্যাচে গুজরাটকে চার উইকেটে হারিয়েছে তারা।
শনিবার (৪ মে) আগে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরু ১৪৮ রানের লক্ষ্য দেয় বেঙ্গালুরু। ৩৮ বল এবং চার উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে বেঙ্গালুরু। এতে চতুর্থ জয়ের দেখা পেলো কোহিলরা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেঙ্গালুরুকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডু প্লেসিস। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৯২ রান তোলে বেঙ্গালুরু। ১৮ বলে ফিফটি তুলতে নেন ডু প্লেসিস। ২৩ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন এই প্রোটিয়া ব্যাটার।
এরপর আট রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারিয়ে বসে বেঙ্গালুরু। উইল জ্যাক (১), রজত পাতিদার (২) এবং ৩ রানে আউট হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন কোহলি।
তবে ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই কিংবদন্তি ব্যাটার। ২৭ বলে ৪২ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত স্বপনীলের ৯ বলে ১৫ রান এবং দিনেশ কার্তিকের ১২ বলে ২১ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৮ বল এবং চার উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে বেঙ্গালুরু।
গুজরাটের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন জশ লিটিল। এ ছাড়াও নুর আহমেদ দুটি উইকেট নেন।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় গুজরাট। দলীয় ১৯ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে গুভমান গিলরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন ঋদ্ধিমান শাহা (১)। ৭ বলে ২ রান করে মোহাম্মদ সিরাজের দ্বিতীয় শিকার হন গিল। তিনে নেমে ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সাই সুদর্শনও। ১৪ বলে ৬ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন শাহরুখ খান। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি দুজনের কেউই। ২০ বলে ৩০ রান করে মিলার আউট হলে, ২৪ বলে ৩০ রান করে রান আউটে কাঁটা পড়েন শাহরুখ।
রশিদ খানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন রাহুল তাওয়াতিয়া। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৪ বলে ১৮ রান করে রশিদ খান আউট হলেও ২১ বলে ৩৫ রান করে তাকে সঙ্গ দেন তাওয়াতিয়া।
শেষ দিকে মানাভ সুথার (১), মোহিত শর্মা (০) এবং বিজয় শঙ্কর ৭ বলে ১০ রান করে আউট হলে তিন বল হাতে থাকতেই ১৪৭ রানে অলআউট হয় গুজরাট।