গোপালগঞ্জে বোমা হামলায় বাবা-ছেলে আহত

0
82
গোপালগঞ্জে বোমা হামলায় মাসুদ শেখ (৪০) ও তার ছেলে আবদুল রাশেদ (৪) আহত হয়েছে। আহতদের প্রথমে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পরে সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত ৯টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর উত্তরপাড়া মাসুদ শেখের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত মাসুদ শেখ ওই গ্রামের মন্টু শেখের ছেলে। তিনি গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাসুদ শেখ তার চার বছর বয়সী ছেলে আবদুল রাশেদকে মোটরসাইকেলে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত ৯টার দিকে বাড়ির সামনে মোটরসাইকেল রেখে ঘরের দরজা খোলার সময় ৫-৬ জন লোক তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছুড়লে মাসুদ শেখ ও তার ছেলে গুরুতর আহত হয়।
বোমার বিস্ফোরণের শব্দে স্থানীয়রা ছুটে এসে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরে সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
আহত মাসুদ শেখের ভাবি ফরিদা বেগম বলেন, সন্ধ্যার পর আমরা ঘরে ভাত খাচ্ছিলাম। এ সময় লোডশেডিংয়ে অন্ধকার হয়ে যায়। বিকট শব্দে শুনে ঘর থেকে দৌঁড়ে বের হই। এসে দেখি মাসুদ ও তার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ওপর পড়ে আছে। একটু পাশে তার মোটরসাইকেল পড়ে ছিল। মোটরসাইকেল থেকেও আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছিল। ঘরের দরজায় বড় ছিদ্র হয়েছে।
কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেল
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক কর্মকর্তা গাজী মো. আশিকুজ্জামান বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগে মাসুদ শেখ ও তার ছেলে আব্দুল রাশেদকে নিয়ে আসে। মাসুদ শেখের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়েছে। বাম পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে, হাড় কেটে গেছে। পেটে বড় ইনজুরি রয়েছে। আমার ধারণা, তার পেটের মধ্যে কিছু রয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যে তাকে অপারেশন করে পেট থেকে সেটা বের করতে হবে। এ ছাড়া মাসুদের শরীরের ৩০ শতাংশ ও ছেলের শরীর ২৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। মাসুদের অবস্থা আশংকাজনক। তবে ছেলে আব্দুল রাশেদ শঙ্কামুক্ত। তাদের দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, মাসুদ শেখ তার ছেলেকে নিয়ে রাতে বাড়িতে ফিরছিলো। ওই সময় কে বা কারা বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপ করে। এতে বাবা-ছেলে আহত হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুল কবির চন্দন স্যারসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন টিম কাজ করছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.