মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের জেরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তপথে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর আরও ৪৬ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে চার দিনে দেশটির মোট ৮০ সেনা ও বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির আশারতলী-জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু সীমান্তপথে এসে আশ্রয় নেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতেও সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সংঘাতে আরাকান বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সীমান্তের ৪৫ ও ৪৬ নম্বর পিলারের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নতুন করে আসা ৪৬ জনের মধ্যে বিজিপি ও সেনা সদস্য রয়েছে। তবে কোন বাহিনীর কতজন সদস্য তা এখন বলা যাচ্ছে না। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে তাদেরকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত কয়েক দফায় আশ্রয় নেওয়া মোট ২৬০ জন বিজিপি সদস্যকে নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলে রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে, মঙ্গলবার দিনে প্রবেশ করছিলেন সেনা ও বিজিপির আরও ১৮ সদস্য। সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে ২ সেনা সদস্য পালিয়ে আসেন। রোববার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসেন বিজিপির ১৪ সদস্য।