দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক দিন দিন কমেই চলেছে। পাঁচ মাসের ব্যবধানে ৩৫ লাখ গ্রাহক কমেছে। গ্রাহকরা জানান, প্যাকেজ সমন্বয়ের নামে মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোই তারা ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন।
বিটিআরসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী—২০২৩ সালের আগস্টে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহক কমতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে ২০ হাজার গ্রাহক কমে ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজারে নেমে যায়। অক্টোবরে এক লাফে ৩ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক কমে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজারে। নভেম্বর প্রায় ৫ লাখ গ্রাহক কমে যায়। ওই মাসে গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার। এরপর ডিসেম্বর তা কমে ১১ লাখ ৮৪ লাখ ৯০ হাজারে নেমে যায়। সবশেষ জানুয়ারি মাসে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা কমে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজারে নামে।
ইন্টারনেটের সমস্যা নিয়ে ফেসবুকের একটি গ্রুপে আলোচনা করে থাকেন গ্রাহকরা।
গ্রুপে সাজ্জাদুল ইসলাম নামে একজন লেখেন, ‘ইন্টারনেটের প্যাকেজগুলো এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ন্যূনতম ব্যবহারের জন্য সাতদিনের প্যাকেজ কিনতেও ২০০ টাকা খরচ হচ্ছে। আবার অনেক সিমে ঠিকমতো নেটওয়ার্কও পাওয়া যায় না। এজন্য মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, নতুন সিদ্ধান্তে ছোট প্যাকেজ কেনা গ্রাহকরা ডাটা কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। আগে যারা তিনদিনের প্যাকেজ কিনতেন, এখন দাম বেশি বলে কিনছেন না তারা। তাই ইন্টারনেট গ্রাহকও কমছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির মহাপরিচালক (এসএস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গণশুনানির আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে গ্রাহকরা কী বলেন, সেটা আমরা শুনবো এবং তা আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’