‘অতি মুনাফালোভীরা চাঁদাবাজদের চেয়েও ভয়ানক’ মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যারা অল্প দামে পণ্য কিনে তিনগুণ দামে বিক্রি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদারকি করা সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে মিরপুরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা-ইন-সাইবার সিকিউরিটি কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজির থেকে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়। রমজানে যারা চাঁদাবাজি ও অধিক মুনাফা করছে তাদের স্পেশাল ফোর্সের আওতায় আনা হবে। নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি না হলে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ নিয়ে নিয়মিত মনিটরিংয়ের কাজ চলছে। চাঁদাবাজি দেখলেই পুলিশকে অ্যাকশন নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ-র্যাব কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কারওয়ান বাজারে যে জিনিস ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেটাই অল্প কিছু দূর নিয়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যশোর থেকে ঢাকায় একটি ট্রাকের কত টাকা চাঁদা দেওয়া লাগে। সেই হিসাবে আমরা পরিসংখ্যান করেছি। চাঁদাবাজির চাইতে অধিকতর মুনাফার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঢাকায় বাড়ে।
চাঁদাবাজি বন্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ইতোমধ্যে ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে সব মহাসড়ককে ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।
ঘন ঘন আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে দেখেছি বড় বড় দু’চারটা অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। সেখানে জানমালের ক্ষতি হয়েছে। রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের অনুসন্ধান চলছে। একের পর এক অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কিনা, এখনও তার কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে সতর্ক থাকলে অগ্নিকাণ্ড রোধ সম্ভব।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান প্রমুখ।