কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে পর্যটকবাহী একটি ট্রলার ডুবে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন এক যুবক। এ ঘটনায় পুলিশসহ ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরবের মেঘনা নদীর রেলওয়ের ২ সেতুর সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই নারীর মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। এছাড়া আহত যুবককে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
নিখোঁজের মধ্য যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল (৩০) এবং তার স্ত্রী ও দুই সন্তান, আনিকা বেগম (২০)।
আনিকার বাড়ি নরসিংদীর বেলাব উপজেলার নারায়নপুর এলাকার দড়িগাঁও গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে একটি ট্রলারে করে ১৫-২০ জন নারী পুরুষ ভ্রমণের জন্য মেঘনা নদীতে ঘুরতে যায়। কিছুক্ষণ পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পাথরবাহী বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি উল্টে গিয়ে নদীতে ডুবে যায়। এ সময় রুবা নামে এক ছাত্রী ও পুলিশ কনস্টেবলের ভাগ্নেসহ কয়েকজন সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠলেও বাকিরা পানিতে ডুবে যান। তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মো. সাজু মিয়া।
তিনি জানান, ঘটনায় তার থানার কনস্টেবল সোহেলসহ ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ নদীতে ট্রলারটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছে।
তবে অন্ধকার থাকায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।