বৃষ্টির মধ্যে মেট্রোরেল বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীতে এ সময় দমকা বাতাসের সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) পৌনে ৫টার দিকে হঠাৎ ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। অবশ্য আধাঘণ্টা পর তা আবার চালু হয়ে যায়।
এই সময় অফিস ফেরত যাত্রীদের ভিড় উপচে পড়ে স্টেশনগুলোতে। মেট্রোরেল যখন চালু হয় ততক্ষণে ইফতারের সময় হয়ে যায়। তখনও দেখা যায় ট্রেনের অপেক্ষায় যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে। তাদের লম্বা লাইনে ভোগান্তির চিত্র ফুটে ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ সময় র্যাপিড ও এমআরটি পাসধারীদের বের হওয়ার জন্য মেশিন ‘জিরো ব্যালেন্স’ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি যারা সিঙ্গেল ট্রিপের জন্য টিকেট কেটেছিলেন, তাদের টাকা ফিরত দেয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের কাস্টমার সার্ভিস অফিসার শরিফ সরদার একটি গণমাধ্যমকে বলেন, বৃষ্টি হয়েছে, টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে ট্রেন কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগেও মেট্রোরেল বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর সোয়া দুইটার দিকে হঠাৎ মেট্রোরেল বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (বিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ জানায়, উত্তরা উত্তর স্টেশনে থাকা একটি ট্রেনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ট্রেনটির অটোমেটিক ডোরে সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য বন্ধ রাখা হয়েছে মেট্রোরেল।
গত ১৪ তারিখ ফেব্রুয়ারি দুপুর সোয়া ১টার দিকে আগারগাঁওয়ের কাজীপাড়া স্টেশনে একটি ট্রেন আটকা পড়ে। এ সময় যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় স্টেশন থেকে। কর্মকর্তারা জানান, সম্ভাব্য ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমে-ওসিএস (ট্রেন চলাচলের ওপরের বৈদ্যুতিক লাইন) ভোল্টেজ কমে যাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
একই ঘটনা ঘটে ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল পৌনে ৩টার দিকে। মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হওয়ায় সুস্পষ্ট কারও বক্তব্য পাওয়া না গেলেও ফেসবুকে যাত্রীরা বলছেন, শেওড়াপাড়া-কাজীপাড়ার মাঝামাঝিতে মেট্রোরেলের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।