‘চটি গল্পকে উৎসাহিত করলে বইমেলার উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে’

0
153
লেখক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক শাহরিয়ার কবির

লেখক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক শাহরিয়ার কবির বলেছেন, বই প্রকাশের নামে আমরা পর্নোগ্রাফিকেও উৎসাহিত করতে পারি না। রাষ্ট্রবিরোধী বই প্রকাশিত হলে সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে চটি গল্পের মতো সাহিত্যকে উৎসাহিত করলে বই মেলার মূল উদ্দেশ্য তো ব্যাহত হবেই, সেই সঙ্গে এটাকে আপনি আইন দিয়ে বন্ধ করতে পারবেন না। লেখক, পাঠক, প্রকাশক ও মেলার আয়োজকদের দায়িত্ব নিয়ে এটি বন্ধ করতে হবে।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ‘বইমেলা শিল্প-সাহিত্যের মিলনমেলা’ নিয়ে এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহরিয়ার কবির বলেন, মেলার উদ্দেশ্য ও সৌন্দর্যহানি হয় এমন কোনো প্রকাশনা এবং লেখককে কোনোভাবেই উৎসাহিত করা ঠিক নয়। কারণ, একটি খারাপ বিষয় পুরো ভালো আয়োজনকে নষ্ট করে দিতে পারে। যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় বইমেলার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাহত না হয় সেই বিষয়ে আয়োজদের অবশ্যই নজরে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বইমেলা একটি ব্যতিক্রমী মেলা। এই মেলায় মানুষ পরিবারসহ আসে। এমন কোন কিছু করা ঠিক হবে না, যা পাঠক-ক্রেতা-দর্শনার্থীদের বিরক্তর কারণ হয়। অন্যের অসুবিধা যেন না হয়, তা খেয়াল রাখাও মানবিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমি একবার লেখক হুমায়ূন আহমেদকেও এ বিষয়টি বলেছিলাম।

তিনি আরও বলেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক আলোচিত ঘটনাগুলো কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। পুলিশিং নয়, বাংলা একাডেমির নজরদারি বাড়ানো দরকার।

সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে এই লেখক ও প্রাবন্ধিক বলেন, বই আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রধান বাহন। অনেকেই বই লিখছেন। এটিকে ইতিবাচকভাবেই দেখতে হবে। এটিকে ধরে রাখতে হবে। তবে এমন কোনো কিছু করা উচিত নয়, যার জন্য বইমেলার স্পিরিট নষ্ট হয় এবং সরকার হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পায়।

পহেলা বৈশাখের উৎসবকে উল্লেখ করে এ লেখক বলেন, পহেলা বৈশাখের সর্বজনীন উৎসবে নারীর প্রতি এমন কিছু অশালীন ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে এখন আর সন্ধ্যার পর কোনো আয়োজন রাখতে দেয় না পুলিশ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.