দুবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ অপু বিশ্বাস

0
114
অপু বিশ্বাস।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘বিউটি কুইন’ খ্যাত অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। এক দশকের বেশি সময়ে প্রায় ১০০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন বেশ কিছু ব্যবসাসফল সিনেমা। রাজনৈতিক মাঠেও সরব হয়েছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতেও দেখা গেছে তাকে। এবার জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে বগুড়া ৬ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত হতাশ এই নায়িকা।

সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হওয়ার ইচ্ছা আগেই প্রকাশ করেছিলেন অপু। সে সময় বলেছিলেন, আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত আসন থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলাম। এবারও মনোনয়ন কিনতে চাই। মনোনয়ন পেলে নারীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। সবাই জানেন, আমি মনে-প্রাণে আওয়ামী লীগ ধারণ করি। সে কারণেই সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন চাই। আমার বিশ্বাস, এই দায়িত্ব পালন করার মতো যোগ্যতা আমার আছে।

মনোনোয়নপত্র জমা দিলেন অপু বিশ্বাস।

এর আগে ২০১৯ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন অপু বিশ্বাস। কিন্তু সেবারও তার ভাগ্য সহায় হয়নি।

এদিকে, অপু বিশ্বাসের পাশাপাশি মনোনয়ন কেনার দৌড়ে ছিলেন নিপুণ আক্তার, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, তানভিন সুইটি, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, শাহনূর, শামিমা তুষ্টি, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও নায়িকা মাহিয়া মাহি। নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে তারা আশাবাদী বলেও জানিয়েছিলেন।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চূড়ান্ত হওয়া ৪৮ জন নারীর নাম ঘোষণা করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৮ জন প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। তবে মনোনীত তালিকায় অভিনেত্রীদের কারও নাম নেই। একজনও এই আসনে মনোনয়ন পাননি। তবে শোবিজ থেকে অভিনেত্রী তারানা হালিম পেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অপু বিশ্বাস।

এর আগে বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনয়নপ্রত্যাশী ১৫৪৯ জনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়), দ্রোপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও), আশিকা সুলতানা (নীলফামারী), রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট) আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক, কোহেরী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর), জারা জেবিন মাহবুব (চাপাইনবাবগঞ্জ), রুনু রেজা (খুলনা), ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট), ফারজানা সুমি (বরগুনা), খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা), নাজনীন নাহার রোশা (পটুয়াখালী) ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী), উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ), নাদিরা বিনতে আমির (নেত্রকোনা), মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট), পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, আরমা দত্ত (কুমিল্লা), লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা), মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা) সদ্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, বেদৌড়া আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ), শবনম জাহান (ঢাকা), পারুল আক্তার (ঢাকা), সাবেরা বেগম (ঢাকা), শাম্মী আহমেদ (বরিশাল) আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক, নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা), ঝর্ণা আহসান (ফরিদপুর), ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ) সদ্য সাবেক মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী, সাহেদা তারেক দিপ্তী (ঢাকা), অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা), শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা), মাসুদা সিদ্দিক রোজি (নরসিংদী) তারানা হালিম (টাঙ্গাইল) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল) আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক, মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর) নির্বাচনের পরাজিত হয়েছিলেন, অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল) হাসিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা), নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ), রুমা চক্রবর্তী (সিলেট), ফরিদুন্নাহার লাইলী( লক্ষ্মীপুর) আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক, আশরাফুন নেছা (লক্ষ্মীপুর), কানন আরা বেগম (নোয়াখালী), শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম), ফরিদা খানম (নোয়াখালী), দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম), ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম) আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক, ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙামাটি), সানজিদা খানম (ঢাকা) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন, নাছিমা জামান ববি (রংপুর)।

কানন আরা বেগমের নামটা স্বতন্ত্র থেকে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের থেকে বিবেচনা করা হয়েছে। তিনি গণতন্ত্রী পার্টির।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.