স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দেশের চিকিৎসার ওপর মানুষের আস্থা নেই। আস্থাহীনতার কারণে মানুষ বিদেশে চিকিৎসা নিতে যান। চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নতি করে দেশের মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে চান নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সামন্ত লাল সেন আজ রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৫৪তম সভার বিষয়বস্তু তুলে ধরা, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগদান এবং সমসাময়িক স্বাস্থ্য বিষয়ে সাংবাদিকদের জানানোর জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের দুই সচিবসহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সায়মা ওয়াজেদ ১ ফেব্রুয়ারি পরিচালকের পদে যোগদান করবেন উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি আমাদের দেশের জন্য একটি বিরাট অর্জন। সায়মা ওয়াজেদ শুধু আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কন্যাই নন, অটিজম নিয়ে কাজ করে বিশ্বব্যাপী তিনি একজন পরিচিত মুখ।’
গত বছর ১ নভেম্বর দিল্লিতে আঞ্চলিক পরিচালক পদে নির্বাচন হয়। এই অঞ্চলের ১১টি দেশের মধ্যে ১০টি দেশের প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দেন। সায়মা ওয়াজেদ ভোট পেয়েছিলেন ৮টি।
সংবাদ সম্মেলনে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘চিকিৎসা নিয়ে মানুষের মনে আস্থা কম থাকায় অনেক মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন। অন্যদিকে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষ আস্থা না পেয়ে ঢাকায় চলে আসছেন। ঢাকা থেকে মানুষ বিদেশ যাচ্ছেন চিকিৎসা নিতে। সবখানেই একটা আস্থাহীনতা কাজ করছে মানুষের মধ্যে। সেটি আমি বুঝি।’
এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মান এমনভাবে বাড়াতে হবে, এমন কিছু কাজ করতে হবে, যাতে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে আস্থার অভাবে না ভোগেন। এর জন্য তিনি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ করবেন বলে জানান।
দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণার ঘাটতি আছে উল্লেখ করে সামন্ত লাল সেন বলেন, বাংলাদেশ টিকা তৈরিতে সক্ষম কি না, তা জানার জন্য আগামী মার্চে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসবে।