বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ভিন্ন চরিত্রের দল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ যা করে, বিএনপি তা করে না। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এ দলটি সবসময় গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করেছে। আর আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হরণকারী দল। তারা সবসময়ে গণতন্ত্রকে খেয়ে ফেলেছে।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির উদ্যোগে ‘ডামি নির্বাচনে অবৈধ সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। এই গণতন্ত্রকে ১৯৭৫ সালে হরণ করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি সেই বাকশালকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফিরিয়ে এনেছিল। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করে দ্বিতীয় দফায়ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে বিএনপি। কিন্তু ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালেও আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে কবরে পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, যদি গণতন্ত্রই না থাকে তাহলে এ দেশের মানুষ কেন যুদ্ধ করেছিল, বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিল। দেশের মানুষ কানাডায় বেগম বাড়ি, সেকেন্ড হোম চায় না। তারা চায় ৫ বছর পর একদিন ভোট দিতে, সেটা কি অপরাধ? ১৮ কোটি মানুষ কি এই অধিকারটুকুও পাবে না?
মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগ পলায়নকারী দল ছিল দাবি করে মঈন খান বলেন, যুদ্ধ করেছিল দেশের খেটে খাওয়া মানুষ। আওয়ামী লীগ কোনো মুক্তিযুদ্ধ করেনি। এখন বিএনপির কালো পতাকা মিছিল নিয়ে ঠাট্টা করেছে আওয়ামী লীগ। তারা বলেছে ‘কালো পতাকা মিছিল তো শোকের’। কিন্তু আওয়ামী লীগ হয়তো জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। তারা এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে- এর চেয়ে আর বড় কোনো শোক নেই।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মনোবল অটুট রাখুন। আওয়ামী লীগ এই গণতান্ত্রিক মানুষদের কোনো কিছুতেই কাবু করতে পারবে না। দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরে দিতেই হবে, দিতেই হবে।
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুর, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মসিউজ্জামান প্রমুখ।