আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ থাকা অবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথসংক্রান্ত বিষয়ে যা হয়েছে, তা সবকিছুই সাংবিধানিকভাবে হয়েছে। তারপরও নীতিনির্ধারকেরা সংবিধানের এ–সংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টীকরণের প্রয়োজন মনে করলে বিষয়টি দেখা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তারপর মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ থাকা অবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের শপথ নিয়ে বিএনপি নেতারাসহ কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন। তাঁরা বলছেন, এখন দেশে সংসদ সদস্য ছয় শতাধিক। এ নিয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিলেন যে এ নিয়ে আইনি বা সাংবিধানিক কোনো অস্পষ্টতা আছে কি না। থাকলে তা সংশোধনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না।
প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে। এটি আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটি চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটির বোধ হয় খুব একটা গুরুত্ব নেই।
সাংবাদিকেরা জানতে চান আইনমন্ত্রী হিসেবে তিনি বিষয়টি স্পষ্টীকরণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করেন কি না। জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন ‘আমি তো বললাম নীতিনির্ধারকেরা যদি মনে করেন স্পষ্টীকরণের প্রয়োজন আছে তাহলে দেখা যাবে।’
তখন সাংবাদিকেরা আবার জানতে চান স্পষ্টীকরণ কোন জায়গায় (সংবিধানের কোন অংশে) হতে পারে? জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন ‘আমি তো এখনো জানি না। নীতিনির্ধারকেরা প্রয়োজন বোধ করলে তারপর কোন জায়গায় সেটা নীতিনির্ধারকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু আমার মনে হয়, এখন যা হয়েছে, সবকিছুই সাংবিধানিকভাবে হয়েছে।’