গাজায় জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা, নিহত কমপক্ষে ৯

0
132
গাজায় জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা

ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজায় জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে জাতিসংঘের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণের পর বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। গাজায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের একটি সংস্থার প্রধান এ তথ্য জানান।

ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর ফিলিস্তিন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর গাজার পরিচালক থমাস হোয়াইট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘৮০০ মানুষ আশ্রয় নেওয়া একটি ভবনে ট্যাংকের দুটি গোলা আঘাত হেনেছে। এই হামলায় ৯ জন নিহত এবং আরও ৭৫ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।’

রাফাহভিত্তিক ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র আদনান আবু হাসনা আল জাজিরাকে বলেছেন, হামলার আগে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। জাতিসংঘ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর চেষ্টা করছে। এলাকাটি ইসরায়েলি ট্যাংকের উপস্থিতির কারণে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে কম্পাউন্ডে প্রবেশ করতে পারেনি। পরিস্থিতি ‘খুব বিপজ্জনক’।

তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে আইডিপিদের (অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের) বের করে আনার বিষয়টি সমন্বয় করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা সফল হইনি।’

গাজার এই আশ্রয়কেন্দ্রে হামলাকে ‘যুদ্ধের মৌলিক নিয়মের প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা’ বলে উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন ইউএনআরডব্লিউএ-র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।

তিনি বলেন, এই কম্পাউন্ডটি জাতিসংঘের অবকাঠামো হিসেবে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত এবং এর অবস্থানও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছিল। যেমনটি আমরা আমাদের সমস্ত অবকাঠামোর ক্ষেত্রে করে থাকি। হামলায় নিহতদের সংখ্যা সম্ভবত আরও বেশি বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

ইসরায়েলের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, এই হামলাটি ‘অবিশ্বাস্যভাবে উদ্বেগজনক’। আমরা ইউএনআরডব্লিউএর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আজকের হামলার নিন্দা জানাই। বেসামরিক মানুষকে অবশ্যই সুরক্ষিত করতে হবে এবং নিরাপদ বলে বিবেচিত জাতিসংঘের অবকাঠামোগুলোর সুরক্ষাকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনে হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে চলছে এই অভিযান। ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে গাজার প্রায় সব অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবিরসহ বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘরসহ সব জায়গায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.