গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়েছে। লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এ সময় পুলিশসহ ১০ জন আহত হন বলে জানা গেছে। তাদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার মৌচাক দোকানপাড় এলাকায় সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কয়েক দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় ১৫-২০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় (দুপুর ১২টায়) সংঘর্ষ থামলেও পুলিশ ও শ্রমিকদেরকে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।
পুলিশ, শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, গত চারদিন ধরে মৌচাক এলাকার ১০-১২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা সরকার ঘোষিত হারে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ ও আন্দোলন কর্মসূচি করে আসছেন। সোমবার চতুর্থ দিনের মতো মৌচাক দোকানপার এলাকার মণ্ডল গ্রুপের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শত শত শ্রমিক ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়। পরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
গাজীপুর শিল্প জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক মজুমদার বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসে দেড় ঘণ্টা ধরে শ্রমিকদের বুঝিয়েছি। শান্ত থাকতে অনুরোধ করেছি। মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়গুলো সমাধান করা হবে বলে জানি। কিন্তু শ্রমিকরা কোনো কথা না শুনে কারখানাটি ভাঙচুরে চেষ্টা চালান এবং মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি করে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
তিনি বলেন, পুলিশ অনেকটা বাধ্য হয়েই শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।