সন্ত্রাসী দল বিএনপির রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী

0
126
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা ও দলীয় প্রতীক নৌকা হাতে নিয়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে এবং শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাও শুভেচ্ছা জানান নেতাকর্মীদের। বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জনসভা মঞ্চে। বরিশাল, ২৯ ডিসেম্বর, ছবি: পিআইডি

আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করে আর বিএনপি-জামায়াত মানুষকে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করে বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল। এই দলের রাজনীতি করার অধিকার নেই।

বরিশাল বিভাগীয় সদরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আজ শুক্রবার নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে এবং শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা জনসভা মঞ্চে ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ধিক্কার জানাই ওই বিএনপি-জামায়াতকে। বিএনপি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দলের কোনো রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে নেই। কারণ, তারা মানুষ পোড়ায়। মানুষ হত্যা করে। আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে আর ওদের রাজনীতি মানুষ পোড়ানো। তাদের কি মানুষ চায়? মানুষ তাদের চায় না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপির) দোসর হচ্ছে ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীরা; যারা গণহত্যা করেছে, লুটপাট করেছে, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করেছে, মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে যাদের বিচার হয়েছে, শাস্তি হয়েছে—সেই জামায়াত। কাজেই খুনি, অর্থ পাচারকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারীদের সঙ্গে জুটেছে যুদ্ধাপরাধীদের দল। এরা নির্বাচন চায় না, নির্বাচন বানচাল করতে চায়।

বরিশাল বিভাগীয় সদরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের একাংশ। বরিশাল, ২৯ ডিসেম্বর
বরিশাল বিভাগীয় সদরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের একাংশ। বরিশাল, ২৯ ডিসেম্বর, ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের কাছে আহ্বান, আপনারা ৭ তারিখে সকাল সকাল সকলে ভোটকেন্দ্রে যাবেন।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন প্রতীকটা কী? জনতা চিৎকার করে বলে ওঠে, ‘নৌকা’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়েই মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। এই নৌকায় ভোট দিয়েই দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে। এই নৌকায় ভোট দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। এই নৌকায় ভোট দিলে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।

জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বরিশাল বিভাগের নৌকার প্রার্থীদের সঙ্গে জনগণের পরিচয় করিয়ে দেন এবং তাঁদের প্রত্যেকের জন্য ভোট প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই এবং এত দীর্ঘ সময় দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে। তাই বাংলাদেশের উন্নয়নটা দৃশ্যমান হচ্ছে। যখন ওই জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়নি, বরং বাংলাদেশ পেছনে চলে গিয়েছিল।

তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেটাতেই আমরা বিশ্বাস করি।’ তিনি বলেন, ‘নতুন ভোটারদের কাছে আমার আহ্বান, যাঁরা প্রথমবারের মতো ভোট দিতে আসবেন, তাঁরা নিশ্চয়ই চাইবেন না আপনার প্রথম ভোটটি ব্যর্থ হোক, কাজেই আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নৌকাকে জয়যুক্ত করবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাবা-মা-ভাই সব হারিয়েছি। সেই ব্যথা-বেদনা বুকে নিয়ে দেশের মানুষগুলোকে আমি আমার আপন পরিবার হিসেবে গ্রহণ করেছি। আর এই পরিবারকে কীভাবে রক্ষা করতে হবে, কীভাবে উন্নতি করতে হবে, আমি সেভাবেই বাংলাদেশের মানুষকে দেখি এবং আপনাদের জন্যই আমি কাজ করে যাই, দেশকে উন্নত করতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘সব বাধা অতিক্রম করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ইনশা আল্লাহ এগিয়ে যাব। আপনাদের দোয়া ও আশীর্বাদ চাই। আপনাদের কাছে নৌকায় ভোট চাই।’

বরিশাল

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.