আরব সাগরে তিনটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি নজরদারি সামরিক বিমান মোতায়েন করেছে ভারত। গতকাল সোমবার ভারতীয় নৌবাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পণ্যবাহী জাহাজ নিশানা করে একাধিক হামলার ঘটনার পর আরব সাগরের নিরাপত্তা জোরদারে এই সিদ্ধান্ত নিল নয়াদিল্লি।
ভারতীয় নৌবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি একের পর এক হামলার ঘটনায় আরব সাগরে তিনটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। এগুলোতে এমন ক্ষেপণাস্ত্র আছে, যা সঠিক নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম। এ ছাড়া মোতায়েন করা হয়েছে একটি সামুদ্রিক নজরদারি বিমান।
সর্বশেষ গত শনিবার আরব সাগরে ভারতীয় উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল দূরে একটি পণ্যবাহী ট্যাংকারে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। ট্যাংকারটি লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ও জাপানের মালিকানাধীন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এমভি কেম প্লুটো নামের ওই ট্যাংকারে হামলা করেছিল ইরান। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী বলেছে, হামলাস্থল ও সেখানে পাওয়া জাহাজের ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো দেখে মনে হচ্ছে, তাতে ড্রোন হামলা হয়েছিল। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে ফরেনসিক পরীক্ষার প্রয়োজন।
ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, হামলার সময় ট্যাংকারটিতে থাকা ক্রুদের ২০ জন ছিলেন ভারতীয়। এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আরব সাগরে হামলার শিকার এমভি কেম প্লুটো ছিল রাসায়নিকবাহী। হামলার পর ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ও তাতে আগুন ধরে যায়। তবে ট্যাংকারে হামলার এ ঘটনায় কারও হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে আঞ্চলিক যে উত্তেজনা চলছে, ট্যাংকারে হামলা করার এ ঘটনা তারই প্রতিফলন।
সম্প্রতি লোহিত সাগরে ইসরায়েল–সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করছে ইয়েমেনের সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী হুতি।