ময়মনসিংহ নগরের শম্ভুগঞ্জের রঘুরামপুর এলাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে একটি ট্রেন বালুবাহী ট্রাককে ধাক্কা দিলে চারজন নিহত হন। এর মধ্যে তিনটি লাশ ট্রেনের ইঞ্জিনের বগির সামনে ঝুলে ছিল। অপর একটি লাশ পাওয়া যায় ট্রাকটির সামনে। আজ সোমবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বলাকা কমিউটার ট্রেনটি নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার জারিয়া রেলস্টেশন থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন বলেন, নিহত চারজনের পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।
দুর্ঘটনার পর বলাকা কমিউটার ট্রেনটি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের লেভেল ক্রসিংয়ে আটকে থাকলে অন্তত দুই ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। একই সঙ্গে ময়মনসিংহ থেকে গৌরীপুর জংশন হয়ে চলাচল করা ভৈরব, মোহনগঞ্জ ও জারিয়ার ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বিকেল পৌনে চারটার দিকে ট্রেনটি উদ্ধার করা হলে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে যানবাহনে ও ময়মনসিংহ-গৌরীপুর রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ট্রেনটির ইঞ্জিনের বগির সামনে একাধিক যাত্রী চড়েছিলেন। ট্রেনটি রঘুরামপুর এলাকায় এলে বালুবাহী একটি ট্রাক লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় আটকে যায়। এতে বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর ট্রেনটি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের রেলক্রসিংয়ে গিয়ে থেমে যায়। ওই সময় ট্রেনের ইঞ্জিনের বগির সামনে তিনটি লাশ ঝুলে ছিল। অপর একটি লাশ ছিল ঘটনাস্থলেই ট্রাকের সামনে। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালান।
ট্রেনের যাত্রী রিনা আক্তার বলেন, তিনি জারিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে ট্রেনে ওঠেন। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটি হঠাৎ বিকট শব্দে ঝাঁকি দেয়। এ সময় ট্রেনের যাত্রীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
রেলওয়ের ময়মনসিংহ অঞ্চলের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আকরাম আলী বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে রেলওয়ের অনুমোদিত লেভেল ক্রসিং ছিল না। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হবে।