কর্মব্যস্ত জীবনে স্মার্টফোন এখন নিত্যসঙ্গী। দিনের বেশির ভাগ সময়ই কাটে ডিজিটাল ডিভাইসে। হুটহাট নিজস্ব কিছু ভুলের কারণেই ভাইরাস ঢুকে পড়ে ডিভাইসে। ব্যক্তিগত সব তথ্য হয়ে পড়ে অনিরাপদ। তাৎক্ষণিক ফোন গরম হয়ে যাওয়া, সব কাজে ধীরগতি ছাড়াও বহু ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
স্মার্টফোন হ্যাক হওয়ার কথা শুনলেই কপালে পড়ে চিন্তার ভাঁজ। কীভাবে হ্যাক হলো– এর সমাধানে একের পর এক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। স্মার্টফোনে ভাইরাস অ্যাটাক হওয়া বা হ্যাক হওয়ার প্রধানতম কারণ যথাযথ সচেতনতার ঘাটতি। স্মার্টফোনে বেশির ভাগ ভুলের কারণেই ভাইরাস প্রবেশ করে ডিভাইসে, যা নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই মেনে চলা কিছু সতর্কতা জেনে নেওয়া যায়।
না জেনেই লিঙ্কে প্রবেশ
ডিজিটাল জগতে মাঝেমধ্যে কিছু অজানা লিঙ্কে ক্লিক হয়ে যায়। অজানা লিঙ্কে ক্লিক করলেই বিপদের আশঙ্কা। বহু লিঙ্ক থাকে, যা স্মার্টফোনের ফাংশন অকেজো করে দেয়। আবার কখনও এটি স্মার্টফোনে থাকা ব্যক্তিগত তথ্যকে অনিরাপদ করে ফেলে, যা সবার জন্যই বিপজ্জনক। অজানা সব লিঙ্কের মাধ্যমে ডিভাইসে ভাইরাস ইনস্টল হয়ে যেতে পারে। সুতরাং সুনিশ্চিত না হয়ে ভুলেও অজানা লিঙ্কে ক্লিক করা উচিত নয়।
ইমেইলে আকর্ষণীয় অফার
হ্যাকাররা নামিদামি সব ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে আকর্ষণীয় অফারে ইমেইল পাঠায়। ওই সব ইমেইলে ছদ্মবেশে স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রক স্ক্রিপ্ট লুকানো থাকে। ফলে ইমেইলের অফারে ক্লিক করামাত্রই স্মার্টফোনে ঢুকে পড়ে ভাইরাস। হ্যাকাররা অনেক সময় নতুন রিলিজ হওয়া সিনেমার লিঙ্ক দিয়েও ব্যবহারকারীদের ইমেইল পাঠায়। তাই এ ধরনের ইমেইলে ক্লিক করার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক হওয়া উচিত।
সাইট এড়িয়ে চলা
সাইট ভিজিট করার ক্ষেত্রে সন্দেহ থাকলে তা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। তা না হলে বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। কারণ, বহু ধরনের জাল ওয়েবসাইট ম্যালওয়্যার যুক্ত হয়। ম্যালওয়্যার হলো এক ধরনের ভাইরাস। ছদ্মবেশী সাইট ভিজিট করার পর যে কোনো লিঙ্কে ক্লিক করলে স্মার্টফোনে ভাইরাস প্রবেশের আশঙ্কা বহুলাংশে বেড়ে যায়।
অ্যাপ ইনস্টলে সতর্ক
অ্যাপ ইনস্টলে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগল প্লে স্টোর আর অ্যাপল আইফোনে অ্যাপ স্টোর আছে। দুটি অফিশিয়াল প্ল্যাটফর্ম ছাড়া অ্যাপ ইনস্টলে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, ক্ষতিকারক কোনো অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে রাখার অনুমোদন দেবে না। যদি আনঅফিশিয়াল অ্যাপ ব্যবহার খুব জরুরি হয়, তাহলে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এপিকে (APK) ফাইলের সাহায্যে অ্যাপ ইনস্টল করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ফ্রি ওয়াইফাই ঝুঁকিপূর্ণ
ভ্রমণে বা প্রয়োজনে যত্রতত্র ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগ নিতে হয়। হোটেল বা রেস্তোরাঁয় গিয়ে বিনামূল্যে ওয়াইফাই ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে সতর্ক হতে হবে। কারণ, নেটওয়ার্ককে টার্গেট করেও স্মার্টফোনে ভাইরাস ছড়ানোর
বহু নজির বিদ্যমান।