বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান অভিযোগ করে বলেছেন, আগামী নির্বাচনের ফলাফল ঢাকায় বসে নির্ধারণ করা হচ্ছে। আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। রাজধানী ঢাকায় বসে আসন ভাগাভাগি করে যে ফলাফল নির্ধারণ করা হচ্ছে, ৭ জানুয়ারি তা শুধু ঘোষণা করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন আবদুল মঈন খান।
আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দিবসটিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মঈন খান। পরে তিনিসহ বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, ৭ জানুয়ারি যে কোনো নির্বাচন হবে না, তা দেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, গণতন্ত্রের অভাবে, মানুষের ভোটের অধিকারের অভাবে দেশের রাজনীতিতে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই বাংলাদেশের জন্য বুদ্ধিজীবীরা ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর জীবন দিয়েছিলেন কি না, সেটাই আজকের প্রশ্ন। স্বাধীনতাযুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন একটি মাত্র উদ্দেশ্যে। তা হলো একটি স্বাধীন দেশ সৃষ্টি করা, যেখানে গণতন্ত্র থাকবে। কিন্তু দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। ভোটের অধিকার নেই। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। এখানে একদলীয় শাসন কায়েম হয়েছে। এখানে রাতে ঘরে মানুষ থাকতে পারে না। এখানে মানুষ গুম হচ্ছে। রাজনৈতিক বিরোধীদের হত্যা করা হচ্ছে।
মঈন খান বলেন, তারা (বিএনপি) জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা উদ্দেশ্যেই সংগ্রাম করছে। তা যে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, বাংলাদেশের মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছে। এই উপলব্ধির কারণেই জনতার কাতারে কোটি কোটি মানুষ নেমে এসেছে। তারা বর্তমান সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বর্তমান সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়ে গেছে বলে মনে করেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, সরকার হয়তো গুলি দিয়ে, সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করতে পারে। শক্তি দিয়ে সরকার হয়তো দেশকে পদানবত করে রাখার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু এমন একটা পর্যায় আসে, যখন জনগণের স্রোত আসে, তখন তারা (সরকার) ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
শান্তিপূর্ণ উপায়ে বাংলাদেশের সংঘাতময় অচলাবস্থার নিরসন চান মঈন খান। তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ করে এসেছে। রাজপথে থেকে তারা এই প্রতিবাদ করে যাবে।