কথায় কথায় আদনান কামালের ভাষ্য, ‘আমি পুরোনো ঢাকার ছেলে। মানুষের ইজ্জত–সম্মান অনেক বড় জিনিস। কাউকে ছোট করে কেউ কখনো বড় হতে পারেন না। যে সাংবাদিক লিখেছেন, তাঁকে আমি বকা দেব না। তাঁর মা-বাবা কষ্ট করে পড়াশোনা করিয়ে সাংবাদিক বানিয়েছেন। সম্মানজনক একটা পেশায় কাজ করছেন তিনি। কিন্তু তিনি তো এভাবে না বুঝে লিখতে পারেন না। নিশ্চিত না হয়ে কারও ছবি এভাবে দেওয়া উচিত নয়। পুরো ব্যাপারে আমি খুব সারপ্রাইজড। তবে এ রকম নিউজ নিয়ে পড়ে থাকলে তো আর আমার চলবে না। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, জেনে লিখুন। না জেনেও যদি লিখতে চান, তা–ও লিখুন। কিন্তু খারাপ লাগছে এটা দেখে, আপনারা আমার তিন সন্তানকে নিয়ে লেখালেখি করতেছেন, এটা খুবই কষ্টদায়ক।’
কিন্তু আপনার সঙ্গে চিত্রনায়িকা পপিকে জড়িয়ে কেন কথা হচ্ছে? ‘পপি ম্যাডাম আমাদের পারিবারিক বন্ধু। আমার ওয়াইফের বড় বোনের ফ্রেন্ড। ২০১৮ সালে আমার ছোটবোনের বিয়েতেও এসেছিলেন। গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। আমাদের শো করেছেন। শাহরুখ খানও বিয়েতে নাচতে যান, তাই বলে কি শাহরুখ খানের লগে ওই মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়? আমরা ঢাকাইয়া মানুষ। খাওন-দাওনের মানুষ। কেউ আসলে খাওন-দাওন না করে ছাড়ি না। এখন সবাই মিলে যদি আমাদের ফ্যামিলি ফ্রেন্ডশিপ নিয়ে কিছু বলে, তাহলে কী বলব! জানেন, আমার ওয়াইফকেও জিজ্ঞেস করেছি, পপির সঙ্গে তাদের পরিচয় কবে থেকে। সে জানিয়েছে, ২০০৪ থেকে তাদের পরিচয়। বাসায় যাওয়া-আসা। তখন তো আমার বিয়েও হয়নি। আমার বিয়ে হয়েছে ২০১১ সালে।’
কথার একপর্যায়ে আদনান কামাল পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘পপি ম্যাডাম কি কোথাও বলছেন, আমি তাঁর হাজবেন্ড?’ এরপর আদনান কামালের কাছে প্রশ্ন ছিল তাহলে আপনার সঙ্গে বিয়ের কথা উঠল কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমার জীবনে এই ধরনের কথা কখনোই ওঠেনি। পারিবারিক বন্ধুত্বের কারণে পপি ম্যাডামের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। তিনি আত্মীয়স্বজন, বন্ধুর মতো। তিনি আমাদের বাড়িতে আসছেন, আমরা তাঁর বাড়িতে গেছি। কিন্তু এটাকে এভাবে বিয়ে পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কোনো মানেই হয় না।’
আপনাদের সংসারে আয়াত নামের একটি সন্তান রয়েছে বলেও খবর প্রকাশ্যে এসেছে? ‘না, না, এটা মিথ্যা কথা। আমার তিন সন্তান। বড় মেয়ে আদিবা, ছোট মেয়ে আজরীন ও ছেলে আলভী। আমার মনে হয়, সমাজে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এই কাজ প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ীরা করছেন। আমার তিন–চারজনকে সন্দেহ হয়েছে। তাঁদের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে তারপর নামটা বলতে চাই।’