বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নাগরিক পরিসর সংকুচিত হওয়ার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিশ্বের ছয়টি সংগঠন। আজ মঙ্গলবার বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে মানবাধিকার সংগঠন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের (আরএফকেএইচআর) ওয়েবসাইটে।
অন্য সংগঠনগুলো হলো- ক্যাপিটল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট (সিপিজেপি), দ্য ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট টর্চার কনসোর্টিয়াম (ইউএটিসি), এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সেস (এএফএডি), অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক (এডিপিএএন) ও ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সেস (আইসিএইডি)।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক বিরোধীদের সমন্বিত বিক্ষোভ-সমাবেশের পর গত অক্টোবরের শেষের দিক থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ ও রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে। পুলিশের সরঞ্জামের অপব্যবহার মোকাবিলায় অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এই ধরনের হাতিয়ারের অসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহার শুধু নাগরিকদের মৌলিক অধিকারকেই লঙ্ঘন করে না; তা উত্তেজনা বাড়ায়, এমন পরিবেশ তৈরি করে, যা ভিন্নমত, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও গণতান্ত্রিক সংলাপের ভিত্তিকে দুর্বল করে।
সংগঠনগুলো বিবৃতিতে বলেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের বলপ্রয়োগ ও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার-সম্পর্কিত জাতিসংঘের মৌলিক নীতি, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কম প্রাণঘাতী অস্ত্রের বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার নির্দেশিকা অনুসরণ।
সংগঠন ছয়টি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও দেশটিতে মৌলিক অধিকার রক্ষার পক্ষে কাজ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।