তৃতীয় দিন শেষে নাঈম জানিয়েছিলেন, নিউজিল্যান্ডকে ২০০-২২০ রানের লক্ষ্য দিতে চান তারা। কিন্তু চতুর্থ দিন ব্যাটিং বিপর্যয়ে প্রথম সেশনও শেষ করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ২ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১৪৪ রানে। ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে ফিফটি পেয়েছেন কেবল জাকির হাসান। ৮৬ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রান করেন জাকির। নিউজিল্যান্ডের এজাজ প্যাটেল নিয়েছেন ৬ উইকেট।
মিরপুর টেস্ট জিততে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ১৩৭ রানের লক্ষ্য পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। মিরপুরে এতো কম রান ডিফেন্ড করার নজির নেই একটিইও। জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে স্বাগতিকদের। এর আগে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছে ১৪৪। নিউজিল্যান্ড নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৮০ রান করে।
অথচ মুমিনুল-জাকিরের জুটিতে দিনের শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু দলীয় ৭১ রানে মুমিনুলের বিদায়ের পর থেকেই শুরু ছন্দপতন। এজাজ প্যাটেলের বলে এলবির শিকার হয়ে মুমিনুল আউট হয়েছেন ১০ রান করে। এরপর একে একে উইকেট বিলিয়ে দেন মুশফিকুর রহিম, শাহাদাত হোসেন দিপু ও মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান, নাঈম হাসান ও শরিফুল ইসলাম।
মুশফিকুর মাত্র ১২ বল খেলে ৯ রান করে স্যান্টনারের শিকার হন। কিউই এই স্পিনারের দ্বিতীয় শিকার হন শাহাদাত। ১১ বলে ৪ রান করে এলবিডব্লিউ হন এই ডানহাতি। মিরাজও ভরসা দেখাতে পারেননি। মাত্র ৩ রান করে এজাজের বলে ফিরলেন। নুরুল হাসান সোহান তো ব্যর্থতার জাল থেকে বেরই হতে পারছেন না। এদিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
এক প্রান্তে জাকির লড়াই করলেও যোগ্য সঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি। তার বিদায়ে দলীয় ১২৮ রানে পড়ে বাংলাদেশের নবম উইকেট। তার পর পুঁজিটা আরও বাড়িয়ে নিতে অবদান রাখেন তাইজুল, শরিফুল। শেষ দিকে কিছু বাউন্ডারির কারণে লিড ১৩৭ রানে দাঁড়িয়েছে। ২১ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল। বাংলাদেশের ইনিংসের ভরাডুবি হয়েছে মূলত কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেলের কারণে। ৫৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৫১ রানে তিনটি নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। একটি শিকার টিম সাউদির।