বিমান হামলায় গাজার বিখ্যাত লেখক রিফাত আলারিয়ার নিহত

0
115
গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও বিখ্যাত লেখক রিফাত আলারিয়ার

গাজা শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বিখ্যাত লেখক ও সাহিত্যিক রিফাত আলারিয়ার। তাঁর মৃত্যুতে ফিলিস্তিনিরা শোক প্রকাশ করছেন।

তাঁর শ্বশুর জানিয়েছেন, রিফাত আলারিয়ার তাঁর ভাই, বোন ও চার সন্তানের সঙ্গে মারা গেছেন। তিনি গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে সাহিত্যের শিক্ষক ছিলেন। ১১ অক্টোবর ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়টি ধ্বংস হয়ে যায়।

গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরু হওয়ার পর তিনি উত্তর গাজা ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেছিলেন। মারা যাওয়ার দুই দিন আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেছিলেন যাতে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

তিনি লিখেছেন, ‘ভবনটি কাঁপছে। ধ্বংসাবশেষগুলো দেয়ালে আঘাত করছে’।

ইসরায়েল বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়টি গাজায় হামাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামরিক কেন্দ্র।

২০১৫ সালে ‘খবরে ফিলিস্তিনিদের সংখ্যার পেছনের গল্প বলুন’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ছিলেন তিনি যার নাম ‘উই আর নট নাম্বারস’।

রিফাত আলারিয়ার গাজা শহরের মূল অধিবাসীদের একজন। লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে তুলনামূলক সাহিত্যে এমএ করেছেন। মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করেছেন ইংরেজি সাহিত্যে পিএইচডি। ২০০৭ সাল থেকে গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বসাহিত্য, তুলনামূলক সাহিত্য ও সৃজনশীল সাহিত্যে অধ্যাপনা করছিলেন।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা করেছিল। এতে ১২০০ ইসরায়েলি নাগরিকের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করেছিল হামাস যার মধ্যে কিছু জিম্মিকে সাময়িক যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

গাজায় প্রাণহানি ছাড়াল ১৭ হাজার, শিশুই ৭০০০: হামাস জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ১৭৭ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭ হাজার শিশু রয়েছে।  জাতিসংঘ বলছে, গাজার জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বাইরে চলে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত সাহায্য পাচ্ছে না। সেখানে কঠিন মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, একটি ত্রাণ কেন্দ্রের বাইরে ফিলিস্তিনিদের অপেক্ষার ভিডিও দেখেছি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ একটি বেড়ার ওপর উঠছে। কারণ তাদের পেছনের সারি লম্বা হচ্ছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা করেছিল। এতে ১২০০ ইসরায়েলি নাগরিকের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করেছিল হামাস যার মধ্যে কিছু জিম্মিকে সাময়িক যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.