আইনজীবীদের কর্মবরতির জেরে শুনানি পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত পিকে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ বাকি অভিযুক্তদের। দীর্ঘ ৮১ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকার পর শুক্রবার সব অভিযুক্তদের কলকাতার নগর দায়রা আদালতে (ব্যাংকশাল) তোলা হয়। শুক্রবারই এই মামলার ট্রায়াল শুরুর নির্দেশ দেওয়ার কথা ছিল আদালতের। কিন্তু আদালতের এক কর্মীর মৃত্যুতে এদিন কর্মবিরতি পালন করা হয়।
ফলে এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি) ও অভিযুক্তের আইনজীবীদের কেউই আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। বহু আলোচিত এই মামলার শুনানি ছিল আদালতের স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে। আইনজীবীরা উপস্থিত না থাকায় স্বভাবতই বিচারক আগামী ১২ ডিসেম্বর পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজ, বোর্ড হাউস ১৫, গ্রিনটেক সিটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পিকে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে শিবশঙ্কর হালদারকে। এ ছাড়াও রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পিকে হালদারের আরও ৫ সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হলেন- তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার।
এরপর ওই বছরের ২১ মে ‘অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২’ (PMLA)-এ তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই আদালতের তরফে দুই দফায় মোট ১৩ দিন পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্তরা।
সেক্ষেত্রে পিকে হালদার সহ ৫ পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে, অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে। ইতিমধ্যেই মায়ের অসুস্থতার কারণে পিকে হালদার জামিনের আবেদন করলেও সে জামিন খারিজ হয়ে গেছে আদালতে। অন্যদিকে নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিন খারিজ হয় নারী অভিযুক্ত আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারেরও। ঠিক একইভাবে বিভিন্ন সময় আদালতে জামিন খারিজ হয়ে যায় প্রাণেশ হালদার সহ বাকিদের জামিনের আবেদনও।