রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৬৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগের দিন রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৯৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সোমবার বেলা ৩টা থেকে আজ বেলা ৩টা) রাজধানীর ওয়ারী থানার ৪ জন, সূত্রাপুর থানার ১, গেন্ডারিয়া থানার ৩, খিলক্ষেত থানার ১, নিউমার্কেট থানার ৩, রামপুরা থানার ১, হাতিরঝিল থানার ৪, মোহাম্মদপুর থানার ২, রমনা থানার ১, পল্টন থানার ৩, মতিঝিল থানার ২, শাহজাহানপুর থানার ১, মিরপুর থানার ১, কাফরুল থানার ১, পল্লবী ৬, শাহ আলী থানার ১, বনানী থানার ৬, বাড্ডা থানার ১, কোতোয়ালি থানার ২, চকবাজার থানার ৩, লালবাগ থানার ২, কামরাঙ্গীরচর থানার ২, কদমতলী থানার ১, শ্যামপুর থানার ১, উত্তরখান থানার ১, দক্ষিণখান থানার ১, যাত্রাবাড়ী থানার ৭, ডেমরা থানার ২ ও খিলগাঁও থানার ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকার সিএমএম আদালতে দেখা যায়, দুপুরের পর থেকে প্রিজন ভ্যানে করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের আদালতের হাজতখানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন মো. মাহতাব। তাঁর স্ত্রী জোহরা খাতুন আজ আদালতে আসেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর আয়ে সংসার চলত। এখন স্বামী জেলে। জামিনও পাচ্ছে না। আমরা অনেক কষ্টে আছি।’
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, গত ২৮ অক্টোবর থেকে আজ ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ১১ দিনে ঢাকায় বিএনপির ২৪৩৯ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের তথ্য বলছে, ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের দিন থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত ও সহিংসতার ঘটনায় ১ হাজার ৬৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সময়ে এসব ঘটনায় রাজধানীর ৩৭ থানায় মোট ১১২টি মামলা করেছে পুলিশ।