মতিঝিল পর্যন্ত চালুর পর থেকেই মেট্রোরেলে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। অবরোধ না থাকায় আজ মঙ্গলবার ভিড় আরও বেড়েছে।
সকাল থেকেই অনেক যাত্রী মেট্রোরেলে চড়ে গন্তব্যে গিয়েছেন। সড়কপথেও যাত্রীদের বাড়তি চাপ দেখা গেছে।
সকাল সোয়া নয়টার দিকে মিরপুরের পল্লবী স্টেশন থেকে মতিঝিলে কর্মস্থলে গিয়েছেন হারুন অর রশিদ। বেসরকারি একটি ব্যাংকের এই কর্মকর্তা বলেন, মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ এতটাই বেশি ছিল যে তিনি কোনোমতে দুই পা রেখে দাঁড়াতে পেরেছেন।
নুসরাত জাহান নামের আরেক যাত্রী বলেন, মিরপুর ১১ নম্বর স্টেশন থেকে তাঁর আরেক সহকর্মীকে নিয়ে মতিঝিলের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন তিনি। যাত্রী এত বেশি ছিল যে মাঝপথে দুবার মেট্রোরেল থেমেছে। পরে শুনেছেন অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
নুসরাত আরও বলেন, আগের দিন ২২ মিনিটে মিরপুর ১১ নম্বর থেকে মতিঝিল পৌঁছাতে পারলেও আজ মাঝপথে দুবার থামার কারণে একটু বেশি সময় লেগেছে।
গত রোববার থেকে মেট্রোরেল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের স্টেশন পেরিয়ে ফার্মগেট, বাংলাদেশ সচিবালয় ও সবশেষ স্টেশন মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রা শুরু করেছে। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পথে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উভয় দিক দিয়ে ১০ মিনিট পর পর মেট্রোরেল চলাচল করছে।
অবরোধ না থাকায় আজ সকালে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে গুলিস্তানের কর্মস্থলে মোটরসাইকেল করে গিয়েছেন ইকবাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। মুঠোফোনে তিনি বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তিনি বের হয়েছেন। অন্য দিনগুলোর চেয়ে আজ সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, মিরপুর থেকে গুলিস্তানে যাওয়ার পথে তিনি প্রাইভেট কার বেশি দেখেছেন। অবরোধের দিন সড়কে যানবাহনের চাপ কম থাকলেও আজ কিছুটা বেশি ছিল।
গত ২৯ অক্টোবর থেকেই বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচি চলছে। জামায়াতে ইসলামীও অবরোধ ডেকেছে। এই কয় দিন ঢাকার রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা ছিল।
তবে সপ্তাহের কর্মদিবসগুলোর মধ্যে আজ অবরোধ কর্মসূচি না থাকার কারণে মেট্রোরেল ও সড়কপথে যাত্রীদের চাপ অনেক বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট হয়েছে।