গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে অসুস্থ একটি জিরাফের মৃত্যু হয়েছে। গত ২০ অক্টোবর জিরাফটি মারা গেলেও আজ শনিবার বন বিভাগের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হয়।
সাফারি পার্ক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, মারা যাওয়া জিরাফটি স্ত্রী। ২০২১ সাল থেকে জিরাফটি অসুস্থ ছিল। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে জিরাফটির শরীরের পেছনের অংশে ক্ষত তৈরি হয়। একপর্যায়ে শরীরে পচন ধরে। অসুস্থ অবস্থায় জিরাফটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
বন বিভাগ জানায়, মারা যাওয়ার পর জিরাফটির ময়নাতদন্ত করে ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড। ওই বোর্ডের অধীনে অসুস্থ হওয়ার পর থেকে জিরাফটির চিকিৎসা চলছিল। মারা যাওয়া জিরাফের শরীর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাফারি পার্কের ভেতরে নির্দিষ্ট এলাকায় মাটিচাপা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
পার্ক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে পার্ক প্রতিষ্ঠার সময় দুই দফায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১০টি জিরাফ আনা হয়। আন্তর্জাতিক প্রাণী বিপণন প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্সের মাধ্যমে জিরাফগুলো আমদানি করে কর্তৃপক্ষ। এরপর ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আরও চারটি জিরাফ বাচ্চা দেয়। অন্যদিকে ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে রোগাক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু জিরাফ মারা যায়। সর্বশেষ মাত্র তিনটি স্ত্রী জিরাফ টিকে ছিল। একটির মৃত্যুর পর পার্কে মাত্র দুটি জিরাফ বেঁচে আছে।
ঢাকা বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তারকে ফোন দিলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।
পরে বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থেকে জিরাফটি মারা যায়। যথাযথ নিয়মানুযায়ী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বোর্ড ময়নাতদন্ত করে প্রাণীটি মাটিচাপা দেয়। এ ছাড়া জিরাফটির শরীরের বিভিন্ন অংশের নমুনা ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন করে পার্কে আরও প্রাণী আনার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একটি প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছে। পাস হলে পার্ক আরও সমৃদ্ধ হবে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যুর বিষয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।