পার্বত্য অঞ্চলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে তিন মাস বর্ষাব্রত পালনের পরে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন হয়েছে গতকাল। সেই থেকে বেইন বুননের মাধ্যমে কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ বোধিপুর বনবিহারে ২০তম শুভ দানোত্তম কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল সারারাত ব্যাপী চীবর বুনন কার্যক্রম চলে। সকালে সেই চীবর সেলাই করে বিকেলে আজ বিহার অধ্যক্ষ জিনবোধি ভান্তের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মানিত সদস্য মিজ ঝর্ণা খীসা। যদিও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য সম্মতি দিয়েছেন রাঙ্গামাটি আসনের সাংসদ জনাব দীপংকর তালুকদার এমপি। পরে বিশেষ কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আজ চীবরদান অনুষ্ঠানে রাজবন বিহারের বিহার অধ্যক্ষ ও আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, কাটাছড়ি ভাবনা কেন্দ্রে অধ্যক্ষ ইন্দ্রগুপ্ত মহাস্থবির এবং বোধিপুর বনবিহারের অধ্যক্ষ জিনবোধি মহাস্থবিরসহ অনুত্তর ভিক্ষুসংঘ উপস্থিত রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে মিজ ঝর্ণা খীসা বলে, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন করেছে মনে করলে জনগণ আপনারা আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দিবেন। সামনে নির্বাচনে জয়ী হলে অর্থাৎ দীপংকর তালুকদার ভোট পেলে আমরা একজন মন্ত্রী পাবো এবং আমরা আরো বেশি উন্নয়ন অব্যাহত রাখবো এ আশা রাখি।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চন্দ্রমনি চাকমা, সাধারণ সম্পাদক বোধিপুর বনবিহার পরিচালনা কমিটি।। তিনি বলেন সাত গোম্বুজের প্যাগোডা তৈরী জিনবোধিভান্তে একান্ত ইচ্ছা ও বোধিপুর এলাকাবাসি প্রাণের চাওয়া। তাই এটি নির্মান কাজ শুরু করেছেন জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান জনাব অংসুইপ্রু চেীধুরীকে দিয়ে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে। গত বাজেটে সামান্য অর্থ বরাদ্ধ পেয়েছেন এবং সেই অর্থ দিয়ে কাজ শুরু করেছেন। আগামীতে যেন সেই কাজ সমাপ্ত করা যায় প্রধান অতিথির মাধ্যমে এমপি ও জেলাপরিষদ চেয়ারম্যানে সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ভিক্ষুদের মধ্যে জিনবোধি মহাস্থবির, ইন্দ্রগুপ্ত মহাস্থবির ও প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির ভান্তে দেশনা প্রদান করেন। বুদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন দিক আলোচনা করেন এবং তা প্রতিপালন করলে কি কি উপকার সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। এই মাসব্যাপী চীবরদানে ফল শুধু মাত্র মানব জাতি নয় সকল প্রাণীর সুখ মঙ্গল ও সমৃদ্ধির জন্য আর্শিবাদ কামনা করেন তারা।
এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা হতে আগত কয়েক হাজার পূন্যার্থীর সমাবেশ ঘটে।