ঢাকায় রাজনৈতিক সমাবেশ ঘিরে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। তারা বলেছে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে সহিংসতার ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করবে দেশটি।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ঢাকায় শনিবারের রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানায়। দেশটি সব পক্ষকে শান্ত এবং সহিংসতা থেকে নিবৃত্ত থাকার তাগিদ দিয়েছে। সেই সঙ্গে সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে বিবেচনায় রেখে সব সহিংস ঘটনাকে পর্যালোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসও বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ঢাকায় রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানায়। একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন রাজনৈতিক কর্মী হত্যা এবং একটি হাসপাতাল পোড়ানোর ঘটনা অগ্রহণযোগ্য। সাংবাদিকসহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাও কাম্য নয়। যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে শান্তি ও সংযমের আহ্বান জানায়। সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য তারা সব সহিংস ঘটনার পর্যালোচনা করবে।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গত মে মাসে ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে ভিসা নীতি কার্যকর করা শুরু হয়েছে।
এই নীতির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করবে। এর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছেু ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।