রূপপুরে ইউরেনিয়ামের চতুর্থ চালান

0
138
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জ্বালানি ‘ফ্রেস নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের চতুর্থ চালান প্রকল্প এলাকায় পৌঁছেছে।

বিশেষ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার সকাল সোয় ১১টায় ইউরেনিয়ামবাহী গাড়িবহর রূপপুরে পৌঁছায়। এ সময় প্রকল্পে কর্মরত বাংলাদেশি ও রাশিয়ানরা গাড়িবহরকে স্বাগত জানান।

ইউরেনিয়ামবাহী গাড়িবহর সকালে রাজধানী ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হয়ে রূপপুর পৌঁছায়।

পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী জানান, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় চালানের মতো সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ইউরেনিয়ামের চতুর্থ চালান সোয়া ১১টায় রূপপুর এলাকায় প্রবেশ করে।

ইউরেনিয়ামবাহী গাড়িবহর সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে  রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছায়। 

এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান। পরেরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জ্বালানি নেওয়া হয় প্রকল্প এলাকায়। ৫ অক্টোবর বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

প্রথম চালানোর পর গত ৬ অক্টোবর দ্বিতীয় চালান, ১৩ অক্টোবর তৃতীয় চালাল এবং আজ চতুর্থ চালান ঈশ্বরদীর রূপপুরে পৌঁছায়।

উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও বৃহৎ প্রকল্প। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকারের ব্যয় ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। আর রাশিয়া থেকে ঋণ সহায়তা হিসেবে আসছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।

প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর সমকালকে জানান, ২০২৪ সালের প্রথম দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। আর ২০২৫ সালের মাঝামাঝি দ্বিতীয় ইউনিট চালু হতে পারে। দুটি ইউনিট চালু হলে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। প্রথম ইউনিটের ভৌত এবং অবকাঠামোগত কাজ শেষ হয়েছে ৯৫ শতাংশের বেশি। আর দ্বিতীয় ইউনিটের অগ্রগতি ৭০ শতাংশ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.