বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে গেছে আগেই। শুরু হেমন্তকালের। তবু শীতের একটা ফিল আছে পুনের রাতে। তাই বৃষ্টির কথা কেউ মাথায় রাখেনি। গতকাল রোদঝলমলে বিকেলে হঠাৎ বৃষ্টির ছিটা বিস্মিত করে! যদিও মাঠকর্মীদের ত্রিপল নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখে ভারতীয় সাংবাদিকরা বলছিলেন, মহড়া চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রেসবক্সে সবার ভুল ভাঙে নেটগুলোও খুলে ফেলায়।
মজার ব্যাপার হলো, বৃষ্টি নিয়ে ভাবছে না তারা। তাদের ভাবনাজুড়ে দুশ্চিন্তায় রূপ নিয়েছে পিচ্ছিল মাঠ। আউটফিল্ডের বেশির ভাগটা ভেজা থাকায় কালসিটে পড়ে গেছে বলে জানান একজন ক্রিকেটার। টিম ম্যানেজমেন্টের একজন মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) স্টেডিয়ামের আউটফিল্ডকে তুলনা করলেন হকির ভেজা সিনথেটিক মাঠের সঙ্গে। যেখানে একাগ্রতার সঙ্গে ফিল্ডিং করা কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের বিপক্ষে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের খেলা না-খেলার সিদ্ধান্ত বিলম্ব করার পেছনেও রয়েছে পুনের মাঠ। যদিও এসব মেনে নিয়েই বিশ্বকাপ খেলে যেতে হবে বাংলাদেশকে। প্রতিকূলতা জয় করে খেলতেও হবে ভালো। মহারাষ্ট্রে আজ মহাকাণ্ড ঘটাতে অলআউট পারফরম্যান্স করতে পারে বাংলাদেশ।
২০২৩ বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত যত ম্যাচ খেলা হয়েছে, তাতে রান হয়েছে বেশির ভাগ ভেন্যুতে। লো স্কোরিং ম্যাচ দেখা গেছে হাতেগোনা কয়েকটি ভেন্যুতে। যদিও ভারতের খেলে ফেলা তিন ম্যাচে ভিন্নতা ছিল। স্বাগতিকরা পছন্দের উইকেটে খেলতে পারছেন। পুনেতেও রোহিত শর্মাদের চাহিদামতো উইকেট করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের ব্যাটিং উইকেট চাওয়ার কারণও রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ আছে দলটিতে। অজেয় ভারতের বোলিং লাইনআপও ভীষণ ‘পাওয়ারফুল’। পেস ইউনিটে জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও শার্দুল ঠাকুররা পাটা উইকেটেও ব্রেকথ্রু দিতে জানেন। সদ্যই তো পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তারা। এমন একটি দলকে কোনো দিক থেকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। গত ১০ মাসে চারটি ম্যাচ খেলে তিনটিতে জেতার পরও বাংলাদেশ শিবির থেকে কেউ বলতে পারছে না– আজ ভারতকে হারাবে। বরং কোচ হাথুরুসিংহের কৌশলী উত্তর ছিল স্বাগতিকদের প্রশ্নে– ‘নিজেদের দিনে বিশ্বের যে কোনো দলকে হারাতে পারে বাংলাদেশ।’ পুনেতে আজ নিজেদের দিন বানাতে না পারলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন থেকে আরেকটু দূরে সরে যাবে টাইগার বাহিনী।
সেকান্দার আলী, পুনে থেকে