হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানাতে বুধবার তেল আবিবে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বর্তমানে বেইজিং রয়েছেন। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটাই তাঁর প্রথম চীন সফর। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর সীমাহীন অংশীদারিত্ব দেখাতেই দেশটি সফরে গেছেন তিনি।
দুই নেতার দুটি বিপরীত সফর বিশ্বব্যাপী ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি কতটা পাল্টে গেছে তার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। তবে কি নতুন বিশ্বব্যবস্থা পেতে যাচ্ছি আমরা। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ও গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার মধ্যে শক্তিধর দুই দেশের নেতাকে ভিন্ন অবস্থানে দেখা গেছে।
রাশিয়া, চীন ও ইরান ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের ওপর একটি নতুন অবস্থা তৈরি করেছে, যেটি তারা কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক, কৌশলগত এবং আদর্শগতভাবে অনুসরণ করেছে। রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে ইরানের অস্ত্র এবং চীনের কূটনৈতিক সমর্থনের ওপর নির্ভর করছে। ইরান বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে; তবে নতুন বাণিজ্য অংশীদার এবং আন্তর্জাতিক বৈধতার কিছু উৎস পেয়ে কিছুটা স্বস্তি বোধ করছে দেশটি। চীনের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা মোটেই ভালো নয়। তারা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা দেশগুলো থেকে রেকর্ড পরিমাণ তেল আমদানি করে বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করেছে। এ পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পশ্চিমের আধিপত্য বিদ্যমান আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা সংস্কারের নামে যুক্তরাষ্ট্রকে নিন্দা ও অবজ্ঞা করার একটি সাধারণ আদর্শিক কারণ খুঁজে পেয়েছে দেশগুলো।
এরই মধ্যে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ একদিকে পশ্চিমা দেশ অন্যদিকে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে বিস্তৃত পার্থক্যকে তুলে ধরেছে।
ইসরায়েলের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতেই বাইডেনের এই সফর। পৌঁছানোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই তিনি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। এ সময় পাশে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মার্কিন প্রেসিডেন্ট গাজায় হাসপাতালে হামলা চালানোর জন্য ফিলিস্তিনি ‘সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করেন। তিনি বলেন, হামাস ‘শুধু দুর্ভোগই’ নিয়ে এসেছে। ক্রমবর্ধমান সহিংস অবস্থায় নতুন বৈশ্বিক ব্যবস্থা আসছে কিনা তা এখন দেখার বিষয়। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের