আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার সকালে মধ্য এশিয়ার দেশ কিরগিজস্তানে পৌঁছেন তিনি।
কিরগিজস্তান আইসিসির সদস্যভুক্ত দেশ নয়। এ কারণে পুতিনকে গ্রেপ্তারের আইনি বাধ্যবাধকতাও নেই দেশটির।
নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত গত মার্চ মাসে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির পর থেকে পুতিন রাশিয়া ছাড়েননি। তবে ইউক্রেনের রাশিয়া অধিকৃত এলাকা পরিদর্শন করেছেন তিনি। গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনও এড়িয়ে যান পুতিন। কারণ সেখানকার সরকার স্পষ্ট করে বলেছিল, তাকে আইসিসিতে স্বাক্ষরকারী হিসেবে গ্রেপ্তারের আদেশ মেনে চলতে হবে।
এই সফরে কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারোভের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে পুতিনের। কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেনডেন্স স্টেটের সম্মেলনেও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর যেখানে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ও অন্যান্য আঞ্চলিক নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনেও অংশ নেননি পুতিন। সম্মেলনে তার পরিবর্তে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ছিলেন।
১৭ মার্চ এক বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার দখল করা অঞ্চলগুলো থেকে শিশুদের বেআইনিভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে পুতিন জড়িত রয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করা হয়। পুতিন ছাড়াও রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের শিশু অধিকারবিষয়ক কমিশনার মারিয়া আলেক্সিয়েভনা এলভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আইসিসি। তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে খুবই কম দেশের বাইরে গেছেন পুতিন। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন রাশিয়ায় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এদিকে চলতি অক্টোবরে বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে অংশ নিতে পুতিন চীন সফরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।